ওপেস্টে আসার একটি মজার স্মৃতি আছে।
ওপেস্টে এসেই প্রথম দেথাতেই ভালো লেগে যায় তাকে। তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার প্রথম নিক সামুতে jaherrahman এর আগে অনেকবার প্রথম আলো ব্লগে নিক খুলতে চেয়েছি এবং বার বার ব্যর্থ হয়েছি। সামুতে নিক খুলি, কয়েকমাস চলে যায়। তারপরও general করে দেয়নি। এরই মধ্যে চলে আসি ওপেষ্টে, কিছুদিন ওপেস্টে লেখালেখির পর দেখলাম general করল। তার মাসখানিক পর safe এ আসি। safe এ আসতে আসতেই ওপেস্টে আমার পঞ্চাশার্ধ্বো পোস্ট হয়ে যায়।
সোনার বাংলাদেশ ব্লগে নিক নেই গ্রাম্যে পোলা। একটি পোস্ট করার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আউট. এভাবে তিন চারদিন একই পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথেই আউট। একটা নোটিশ আসল, সতর্ক করা হচ্ছে। একটা কমেন্ট করলাম একটা পোস্টে। আবারো নোটিশ- তৃতীয়বার ব্যান করা হবে! এখন আর সেখানে তেমন লেখালেখি করিনা।
আমুতে একটা গ্রাম্যে পোলা নিক নিলাম। সেখানে প্রথম দিকে দু’তিনটি পোস্ট করে আর করিনা। মাঝে মাঝে গিয়ে মন্তব্য করি।
যাকগে, এই পোস্টের শিরোনাম দিলাম নিজাম কুতুবীকে নিয়ে অথচ গল্প করছি আমার! নিজাম কুতুবী মাইন্ডে নিতে পারে।
আমি এমন কোন ব্লগ দেখিনি যেখানে নিজাম কুতুবীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম হয়তো সে ব্লগিং সংস্থার বা কর্তৃপক্ষের কেহ। এখন আমি অভিভুত হয়ে যাই তিনি কি স্বর্গে বসে ব্লগিং করেন? ওইখানে কি লোডশেডিংর বালাই নেই? এটা বেশ অযৌক্তিক কারণ এখন আইপিএস এর ব্যবস্থা আছে। বাদ দিলাম, উনি খান কখন? কখন ঘুমান? কখন অন্যান্য কাজ সারেন? ওপেস্টে এগুলি খোঁজা নিষেধ, তাই আর কিছু বললাম না, পাছে ব্যান নয়, গ্রেড ডিমোশনের সুযোগ থাকে।
নিজাম কুতুবী কিভাবে আসছেন তা আমার জানা নেই। তবে যেভাবে এসেছেন আমি তাকে অভিবাদন জানাই যে আমাদের মাঝে তার মত একজন প্রতিষ্ঠিত ব্লগারকে পেয়েছি। অত্যান্ত কম সময়ে ৫০ পোস্ট পূর্ণ করেছেন। আমরা যখন ওপেস্টে আসি তখন এই সুযোগ ছিলনা, কারণ প্রথমদিকে প্রথম পাতায় ২টি পোস্ট করার অনুমতি ছিলোনা। তারপর শীর্ষ ব্লগারদের ২টি পোস্ট করার অনুমতি প্রদান করা হয়। এভাবে অনেক আন্দোলন, বিদ্রোহ করে আজকের ওপেস্ট। এখনতো অনেকটা ৫টি পোস্টের ব্যবধান হলেই যথেস্ট!
নিজাম কুতুবী একটি পোস্টে/কমেন্টে বলেন- উনি ৮০% সময় ওপেস্টে দেন, এটা আমাদের সৌভাগ্য ও বলা যায়। এ কথা থেকেই বুঝা যায় তিনি ওপেস্টের প্রেমে পড়েছেন। আশা করি তিনি আমাদের কে তার ওপেস্টে আসার সুন্দর গল্পটি বলবেন।
ধন্যবাদ নিজাম কুতুবী, ধন্যবাদ সবাইকে।
শুভ ব্লগিং