সাবধান সাবধান
মূর্খমন্ত্রী ইদিকে আসছেন।
ফন্দীগ্রামে শুনছি নাকি শান্তি ফিরেছে এগারো মাস পরে ।
নতুন একটা সূর্য ও নাকি উদয় হয়েছে
সঙ্গে লাল পতাকা উড়ছে ঘরে ঘরে।
[আমাদের স্বগোতক্তি ]
ফন্দীগ্রাম স্মশান হয়েছে, প্রাণের সঙ্গে মান,
সবই তো হয়েছে বলি।
পোড়া ঘর আছে, মানুষ তো নেই
অশান্তিটা কেই বা করতে পারে !
[মূর্খমন্ত্রী]
ঘরের মানুষ ঘরেতে ফিরেছে, তবু বল ঘর খালি।
তোমাদের বুঝি আর কাজ নেই
শুধু আমাদের দাও গালি।
তোমাদের মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার হাতে।
আমরা এখন ধর্ষণ আর হত্যালীলায় ভীষণ ব্যাস্ত বলে
যতই চ্যাঁচাও কান দিচ্ছিনা তাতে।
ফন্দীগ্রামের লাল সুর্য্য এখনো নতুন তাই,
পাচ্ছনা টের, কদিন পরেই আঁচ পাবে গায়
সাবধানে থাক ভাই।
ভুলেও আমাকে ভেবনা তোমরা মূর্খমন্ত্রী
আমি ছিপিএম জেনো।
হালুয়াটাইট করে দেবে মোর কেডার বাহিনী
চিহ্ন রবেনা কোনো।
ওরে !
আমার রাজ্যকবি কোথায়, সে কি কয় !
[বোকাবাক্সে মুখ দেখাতে গেছে বোধ হয় ]
চুপ ব্যাটা অর্বাচীন।
মাথা মোটা হচ্ছে দি্ন দিন।
দেখেছিস আমার রাজ্যশিল্পী, বুড়ো পক্ক কেশ
দাঁত খিঁচিয়ে মিথ্যা কথা বল্ল কেমন
বুদ্ধুজীবীদের দিল কেমন ঠেশ ।
কুভাষ কোথায় ছিল ঘাপটি মেরে
এসেই কিন্তু দ্যাখ গেছে ঠিক তেড়ে।
[এরা সব পষ্য বুঝি? তা বললেই হয় সোজাসুজি]
ওরে অবোধ এটা বোঝা তদের কম্ম নয়।
নীল মন্ত্রে দীক্ষা নিতে হয়।
গরীব-মানুষ-মারা, ধর্ষণ, ছিনতাই আর রাহাজানি,
মিথ্যা ভাষণ, শিল্পপপতিদের পদলেহন- এ সব আমরা জানি।
আর আমাদের চিমড়া বুড়ো বি-অবতার,
আমাদের বাঁটুলদি গ্রেট,
কেমন গালাগালির জোয়ার
আদালত আর রাজ্যপালকে দিল কেমন থ্রেট ।
তাইতো আমি বলছি শোন্ আমি মোটেই মু-ম্নত্রী নহি,
আমার আগে পার্টি, আমি তার লেজের ভার বহি।
সাবধান সাবধান,
মূর্খমন্ত্রী উদিকে যাচ্ছেন ।।