কালকে রাতে ঘুমাতে গিয়ে টের পেয়েছিলাম মাথার মধ্যে অনেকগুলো লাইন ঘুরছে। ইচ্ছে হলো লিখে ফেলি। কিন্তু আলসেমি আর কাকে বলে! বিছানা থেকে আর উঠতে ইচ্ছে হলো না। কাজে এসে আর কিছু মনে পড়ছে না। শুক্রবার। কাজকর্ম একটু স্লো।
লাঞ্চ করতে করতে প্রথম আলোর নিউজগুলোতে চোখ বুলাচ্ছিলাম। গেছো কুকুরের গাছে ওঠা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন। কিন্তু চিন্তায় ফেলে দিল নিউজের নিচে একটা মন্তব্য – “প্রশিক্ষনে জন্তু জানোয়ারের স্বভাব পরিবর্তন সম্ভব, কিন্তু মানুষের সহজে তা হয় না।”
এর পর মাথায় এলো, আচ্ছা মানুষের যদি লেজ থাকতো, তাহলে সেটা কি সোজা হত নাকি বাঁকা হতো? বাঁকা হলে কি কুকুরের লেজের মত হতো? কুকুরের লেজ সোজা হয় না; মানুষের লেজ কি সোজা হয়?
যেমন ভাবনা, তেমনি কাজ। প্রতিটা মানুষের পিছনে একটা করে লেজ লাগিয়ে দিলাম। দেখতে অতি চমৎকার লাগছে। অবাক করার বিষয় হলো, লেজগুলো কুকুরের লেজের মত বাঁকা! এবার হাত বুলিয়ে সোজা করার চেষ্টা করলাম। (বুঝতে পারছি আপনারাও আমার সাথে এই মুহূর্তে এই একই ভাবনা ভাবছেন এবং এই একই দৃশ্য দেখছেন।) বিস্ময় ক্ষণে ক্ষণে বেড়েই চলেছে – একটা লেজও সোজা করতে পারলাম না। বরং সবগুলোই জিলাপির আকার ধারণ করছে। [ সাথে একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা টপিক মনে পড়ে গেল। দেশে থাকতে অনেককে বলতে শুনতাম – কুত্তারও একটা সিজন আছে, মানুষের নাই। ]
এই মুহূর্তে কে কি ভাবছেন – দয়াকরে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
—————
১৮ জুন ২০১০