যতটুকু জানি বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৬০০ কোটির উপরে। হারিয়ে গেছে আরো কোটি কোটি মানুষ চিরতরে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ বেঁেচ থাকে, গেঁথে থাকে, সম্মানিত হয়, অমর হয় তার কমের্র মাধ্যমে, ভালবাসার জীবন্ত প্রতিমূর্তি হয়ে। আর কিছু মানুষ আছেন যারা তাদেরকেও ছাড়িয়ে যান। মানুষের প্রতি অকৃত্রিম প্রেম, অতুলনীয় প্রজ্ঞায় ও ঈশ্বর প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে স্থায়ী আসন করে নেন মানুষের মনে, তারাই হলেন মহামানব। যারা স্থান কালের উর্দ্ধে, সা¤প্রদায়িকতার উর্দ্ধে, জাতি-গোষ্ঠী-বণের্র উর্দ্ধে সবারই প্রণম্য হন। এমনই এক জ্যোতির্ময় পুরুষ পাবনার প্রত্যন্ত পল্লী হেমায়েতপুরে জন্ম নিয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন ব্রিটিশ আমলের শেষার্ধে এ বাংলার হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার সম্প্রীতির এক মহান ধারক, পালক ও বাহক। একটা ঘটনা উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করি।
ঘটনাটি পাকিস্থান পূর্ববর্তী সময়ে, হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সমসাময়িক। ঘটনাস্থল পাবনার হেমায়েতপুর। হেমায়েতপুর থেকে নৌকায় পাবনা ফিরছিলেন দুজন লোক। এদের মধ্যে একজনের পোশাক-আশাক ও মুখের দাড়ি দেখে সহজে বুঝা যাচ্ছিল তিনি মুসলমান ও অন্যজন সাহেবী পোশাক পরা । দুজনই প্রথমে অনেকক্ষণ নিরব ছিলেন। হঠাৎ সাহেবী ভদ্রলোক লক্ষ্য করলেন তিনি কিছু প্যাকেটের উপর বসে আছেন। উনি ভাবলে এটা মনে হয় ঐ লোকের তাই তিনি ঐ মুসলমান ভদ্রলোকের কাছে লজ্জা প্রকাশ করলেন । মুসলমান ভদ্রলোক বললেন, এটা তার নয়। তখন সাহেবী ভদ্রলোক বললেন, খ্রীষ্টীয় শিক্ষা পেলাম হিন্দুর কাছে।
মুসলমান লোকটি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছ থেকে আসছেন?
হ্যাঁ, আপনি তাকে জানেন?(সাহেব)
খুব ভালভাবেই জানি।(মুসলমান)
একজন খুবই আশ্চর্য্য মানুষ, কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে, আপনি কি ঠাকুরকে অনেকদিন ধরে চিনেন?(সাহেব)
না খুব বেশিদিন নয়, তবে খুব ভাল মানুষ (মুসলমান)
হ্যাঁ, আমার মনে হচ্ছে বিস্ময়কর মানুষ! (সাহেব)
এরপর সাহেবী লোকটা পরিচয় দিলেন, তিনি ফ্রেড হকইয়ার্ড, পাবনা মিশনের পরিচালক। অন্যজন বললেন, আমি সৈয়দ খলিফুদ্দিন মৌলভী, পাবনা মুসলমান স¤প্রদায়ের। তারপর দুজনই ঠাকুরের বিভিন্ন লোকহিতকর বিষয়াদি আলোচনা করা শুরু করলেন। তারা দুজন ঐক্যমত হলেন তিনি একজন সত্যিকারের মানুষ। মৌলভী সাহেব বললেন, তার মত একজন মানুষ প্রকৃত মুসলমানের মধ্যেও পাওয়া দুস্কর। তার ছেলে হেমায়েতপুরে ঠাকুরের সৎসঙ্গ আশ্রমের তপোবন বিদ্যালয়ে পড়ে। সকলকেই ঠাকুর খুবই øেহ করেন। এ বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের প্রজ্ঞা, মেধা আর আদব কায়দা দেখলে অবাক হতে হয়। মিশনারির পরিচালক হকইয়ার্ড বললেন, আমার কাছে উনাকে ভারতীয় যীশু খ্রীষ্ট বলেই মনে হয়েছে। আমি ইনার সাথে আলাপ করতে করতে এমন জায়গায় পৌছেছিলাম, একজন খ্রীষ্টানের সাথে কথা বলে তা সম্ভব হতো না। উনার সাথে কথা বলে এমন এক ভাবের ও উপলব্দির সৃষ্টি হয় যা গীর্জায় বাইবেলের উপর বক্তব্যের সময়ও হয় না। তারপর দুজনে অনুভব করলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের বদৌলতে কিভাবে একজন খ্রীষ্টান, একজন মুসলমানের বন্ধুতে পরিনত হলেন। তৎকালীন সময়ে হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টান দ্বন্দ লেগেই থাকতো। শ্রীশ্রীঠাকুর অসা¤প্রদায়িকতার যে আলো হেমায়েতপুরে ছড়িয়েছিলেন তা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ল সমগ্র ভারতবর্ষে। কিন্তু তাঁর প্রতি এ বাঙ্গালীরা কি প্রতিদান দিল? ইতিহাস খুব সুখের নয়। খুব গৌরবেরও নয়।
আরেকটা ঘটনা বলি, দুই মুসলমান যুবক ঠাকুরের কাছে javascript:InsertImage()এসে দীক্ষা
(পথ প্রদর্শক ) নিতে চাইল। ঠাকুর বললেন, তোমরা যদি তোমাদের বিশ্বাস পরিবর্তন করতে চাও, তাহলে তোমরা আমার কাছে এসো না। তোমাদের মহাপুরুষ, পরমপুরুষ অন্যান্য মহাপুরুষের মতই আমার কাছে শ্রদ্ধার আর প্রিয়। তারা অভিমানের সঙ্গে বলেছিল, তোমার কথাতে যা বোঝা যায় তা হলো যে তুমি আমাদের ঠিক গ্রহন করবেনা। ঠাকুর বলেছিলেন, বিভ্রান্ত হয়ো না। তোমরা জন্মগত সংস্কারে যে মহাপুরুষ পেয়েছ দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গেই কিন্তু এক মহামূল্যবান মেলবন্ধন। তাদের মধ্যে একজন কাঁধ ঝাকিয়ে বলে উঠল, তারা কি আপনাকে বলেছে আমাদের গ্রহন না করার জন্য।
ঠাকুর ভালোবাসার সুরে বললেন, দেখ মুহম্মদের প্রতি আন্তরিক,অকৃত্রিম আর অকপট প্রিয় আর শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা নিয়ে যদি একজন মুসলমান আমার কাছে আসে , তার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে তাকে ভালবাসতে পারে। তাহলে আমিও তোমাদের আন্তরিক আনন্দে হৃদয়ে গ্রহন করতে পারি। তারা ঠাকুরের সম্মুখ হতে চলে গিয়েছিল। প্রায় দুসপ্তাহ পরে আরও তিনজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারা হেমায়েতপুর এসেছিল এবং তাদের ভূল স্বীকার করেছিল। তারা বলেছিল, আপনি সেদিন ঠিক কথা বলেছিলেন। আপনার কাছ থেকে ফিরে গিয়ে প্রতিদিন রাতে আমরা মহম্মদের শিক্ষাকে উপলব্দি করতে চেষ্টা করেছি। তিনি সত্যিই মহামানব। কিছু কিছু বিষয় ভূল জানা আর বোঝার ভূলের কারনে আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। ইনিই শ্রীশ্রীঠাকুর, পাবনার কৃতি সন্তান শ্রীশ্রীঠাকুর। তার জন্মস্থান হেমায়েতপুর, যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ আশ্রম। যেখানে এ মহামানবের স্মৃতি, বেদনার শেল হয়ে বিঁধে তাঁর অগনিত ভক্তগনের কাছে। যিনি আজ মানবতাবাদী সকলের প্রণম্য। পাবনা আজ ধন্য হতে পারত তাঁর এ গবির্ত সন্তানের জন্য কিন্তু পাবনা এখন জানেও না তাঁর সম্পর্কে। যার আদর্শ,কৃষ্টি, বাণী নিয়ে পুরো বিশ্বে চলছে গবেষনা, তাঁর জন্ম স্থান পাবনা ও পাবনার সাধারণ জনগণ কি আজো ঘুমিয়ে থাকবে? সরকার কি তাঁর জন্মভূমি ফেরত দিয়ে সম্মান জানবেনা এ মহান মানুষের চরণে?
সাধারণ অর্থে তিনি শুধুমাত্র একজন ধর্মীয় সাধক নন। অবশ্য তিনি ধমের্র সংজ্ঞা দিয়েছিলেন, ”অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে, ধর্ম বলে জানিস তাকে/ধর্মে সবাই বাড়ে, স¤প্রদায়দায়টা ধর্ম নারে।” তাই তিনি এ বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ ধার্মিক। তৎকালীন হেমায়েতপুরে তিনি তার আশ্রমের ভক্তদের সাথে নিয়ে বিনামূল্যে, বিনা পারিশ্রমিকে অনেক নলকূপ স্থাপন করেছিলেন। এমনকি তাঁর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা কেনার টাকা দিয়ে তিনি নলকূপ স্থাপনের জিনিসপত্র ক্রয় করেছিলেন। তাঁর ভক্তরা যখন আপত্তি করেছিল তখন তিনি বলেছিলেন, এ মুহুর্তে
মানুষকে বাচাঁনোই প্রধান কাজ। যিনি প্রায়ই বলতেন, আমি একটি সাম্রাজ্য ত্যাগ করতে পারি কিন্তু একজন মানুষকে ত্যাগ করতে পারি না। ইনিই শ্রীশ্রীঠাকুর। পুরো নাম অনুকূল চন্দ্র চক্রবর্তী। তাঁর ১২২ তম জন্ম বার্ষিকীতে কি উপহার দেবে তার প্রিয় পাবনার মানুষ? তাঁর সৎসঙ্গ আশ্রম কি তারা সরকারের নিকট থেকে ছিনিয়ে এনে তাকে সম্মান জানাবে? সরকার আর কতবছর চোখ বন্ধ করে থাকবে?
প্রণতি কি জানাবেনা এ মহাপ্রেমিকের চরণে? প্রশ্ন থাকলো।
তিনি সেই ব্রিটিশ আমলে প্রত্যন্ত গ্রামে স্থাপন করেছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার এক পিঠস্থান ”বিশ্ব বিজ্ঞান কেন্দ্র”। যেখানে গবেষনা করতেন কৃষ্ণ প্রসন্ন ভট্টাচার্য্যরে (নোবেল বিজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী সি. ভি. রমনের সহকারী গবেষক) মতো তৎকালীন ভারতবর্ষের নামী প্রফেসর ও বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঘূঁণে ধরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য সৎসঙ্গ তপোবন বিদ্যালয়। মাত্র আড়াই বছর শিক্ষা লাভ করে তপোবনের প্রথম ৯ জন ছাত্র পাবনা থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কৃতিত্বের সাথে পাস করে পুরো বাংলায় আলোড়ন তুলেছিল। প্রতিষ্টা করেছিলেন মনমোহিনী ইনিস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি। যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। আজ সব স্বপ্নের মত মনে হয়, মনে হয় যেন কোন গল্প। কিন্তু ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এসব বাস্তবেই করেছিলেন। ছিয়াত্তরের মন্নন্তরের সময় তিনি সৎসঙ্গ চালের গুদাম থেকে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করার ফলে তৎকালীন সময়ে শুধুমাত্র এই এলাকায় কোন প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি। ইনিই শ্রীশ্রীঠাকুর, অনেকে বলেন দয়াল ঠাকুর। যার যোগ্য সম্মান এ সময়ের পাবনাবাসী দেয় নি, সরকারও এ মহাপুরুষের জায়গা নিয়ে তামাশা করছে। কিন্তু তাই বলে আমি বলবোনা ধিক্, শত ধিক্ তারে।
তিনি পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমে প্রতিষ্ঠ করেছিলেন সৎসঙ্গ দাতব্য হাসপাতাল, সৎসঙ্গ ঔষুধালয়, সৎসঙ্গ ক্যামিক্যাল ওয়ার্কস, সৎসঙ্গ মেকানিক্যাল ওয়ার্কসপ, সৎসঙ্গ ইলেকট্রিক পাওয়ার হাউজ। সৎসঙ্গ পাওয়ার হাউজে স্টিম ও ডিজেল ইঞ্জিল এবং ডায়নামো ছিল। যখন পাবনা শহরে রেড়ির তেলের বাতি জ্বলতো, তখন হেমায়েতপুরে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলিয়েছিলেন। এ প্রযুক্তি তার গড়া বিশ্ব বিজ্ঞান কেন্দ্রেরই আবিষ্কৃত। কেন এ আশ্রম, জ্ঞান চর্চার বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র সরকার বাজেয়াপ্ত করল। সবাই ইতিহাস জানতে চেষ্টা করুন। কেন আজো অবমুক্ত হলো না ঠাকুরের জায়গা? কেন তাঁর জায়গা এ স্বাধীন বাংলাদেশেও অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি হয়ে থাকলো? এ প্রজন্ম তা জানতে চায়।
আরো ছিল সৎসঙ্গ পাবলিশিং হাউজ, সৎসঙ্গ প্রেস। এ প্রেস ছিল কলকাতার বাইরে সবচেয়ে উন্নত মানের প্রেস। যার তৎকালীন মূল্যমান ছিল একলক্ষ তেত্রিশ হাজার পাঁচশ রুপি। যা পরবর্তীতে পূর্ব-পাকিস্থান গর্ভমেন্ট প্রেস হিসেবে ঢাকায় ব্যবহৃত হয়েছে।
ঠাকুরের কাছে তৎকালীন সময়ে পরামর্শের জন্যে ছুটে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ বসু, দেশবন্ধু সি.আর দাশ, জনার্দন মূখার্জী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ আরো অনেকে। তিনি ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক। কত পরিচয় তাঁর আর তুলে ধরব।
ইতিহাসের নির্মম পরিহাস, ১৯৪৬ সালে ঠাকুর এদেশ থেকে গেলেন ভারতের বিহার রাজ্যের দেওঘরে। সেখানে গড়ে তুললেন আরেক নব অধ্যায়। সেখানে এখনো চলছে সেই মহা যজ্ঞ। এখানেও সৎসঙ্গ আন্দোলন চলছিল। হঠাৎ একদিন পাকিস্থানী বাহিনী সৎসঙ্গ আশ্রম দখল করল। এ বাংলার, বাংলা ভাষার এক অকৃত্রিম বন্ধুর পবিত্র ভূমি অবহেলার স্বীকার হলো। কি লজ্জা! কি অপমান! তবুও আমরা বলবনা ধিক্! শত ধিক্ তারে।
কিন্তু দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৩৮ বছরেও এদেশ সম্মান জানায়নি এ সাধকের চরণে। এ কথা লিখতে হাত লজ্জায়, ঘৃনায় কাঁপে। তবুও লিখতে হবে।
দীর্ঘদিন থেকে তাঁরই গড়া সৎসঙ্গ বাংলাদেশ ও তাঁর অগনিত ভক্তরা দাবী জানাচ্ছে সরকারের কাছে। ঠাকুর সর্বদা বলতেন রাষ্ট্রকে মান্য করতে। তাই তারা আজোও প্রানের আবেগে দাবী জানাচ্ছে ঠাকুরের ভূমি ফেরত দিতে এবং শ্রীশ্রীঠাকুরকে শত্র“ হিসেবে নয়, একজন মহান মানব ও বাংলার অকৃত্রিম বন্ধুর মর্যাদা দিতে। জানি না কেন তা করতে গড়িমসি হচ্ছে।
কিন্তু একদিন এ বাংলার ইতিহাস লিপিবদ্ধ হবে, সেইদিন এক মহাত্মার প্রতি, সমাজ-শিক্ষা সংস্কারকের প্রতি, তার জন্মভূমির প্রতি যে অবজ্ঞা, অশ্রদ্ধা রাষ্ট্র থেকে করা হলো তা এক চরম ঘৃণার ইতিহাস হয়ে থাকবে। আগামী প্রজন্ম সবাইকে ধিক্কার দেবে। তারা নিশ্চয় বলবে, ধিক্, শত ধিক্ তারে। তাই এ বাংলাদেশের সকলের প্রতি অনুরোধ সোচ্চার হোন যাতে হিমায়েতপুরে শ্রীশ্রীঠাকুরের গড়া বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র ও শ্রীশ্রীঠাকুর যে স্থানে জন্মগ্রহন করেছিলেন সে স্থান অবমুক্ত করা হয়। এ স্থান হতে পারে বিশ্বের সকল অসা¤প্রদায়িক, মানবতাবাদী ও মানবপ্রেমী মানুষের মহামিলনস্থল। বিশেষ করে পুরো বিশ্বে তাঁর যে কোটি কোটি ভক্তরা ছড়িয়ে আছে তাদের কাছে। এ বাংলা ধন্য হবে তাঁরই শুভ আশিষে। এ পাবনা আবার সেজে উঠবে সেই পুরানো নব সাঁজে। দেশ অর্জন করতে পারে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা। কারণ পাবনা তখন পরিণত হবে পর্যটন কেন্দ্রে। তাই আসুন সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে পাবনার সাধারণ জনগণ। তারাই পারে তাদের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে। পাবনা পরিচিত হতে পারে পুরো বিশ্বে এ রকম মহান পুরুষের জন্মদায়িনী হিসেবে। অসা¤প্রদায়িক চেতনা ও দিন বদলে অঙ্গিকারাবদ্ধ সরকার নিশ্চয় ফিরিয়ে দেবে পাবনার গৌরব। ফিরিয়ে দিয়ে প্রণতি জানাবে তাঁর শ্রীচরণে। সেই শুভ দিনের প্রত্যাশায়।
বন্দে পুরুষোত্তমম্
লেখক: বৃন্দদ্যূতি চৌধুরী । কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পরিচালক: ‘শ্রেয় অন্বেষা’ র্(একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান)