ছিন্নমৃল শিশুর সংখ্যা দিন দিন বড়েই চলছে । বর্তমানে ছিন্নমৃল শিশুর সংখ্যা ২০ লাখের মত হবে । এ সকল শিশুর বয়স সীমা ৩-১৮ বছর পর্যন্ত ।এক জরিপের তথ্যে জানা গেছে। এসব শিশু অধিকাংশ এসেছে হত দরিদ্র এবং বাবা মায়ের বিচ্ছেদের কারনে ভেঙ্গে যাওয়া সংসার থেকে । এদের মধ্যে আবার কিছু শিশু আছে যারা সামান্য পরিমান অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন । পথে পথে অবহেলায় অনাদরে বেড়ে উঠা এ সকল শিশুর আশ্রায়হীনতা নিরাপত্তা হীনতা এবং রাত্রিকালিন কোন রকম সুরক্ষা ব্যাবস্হা না থাকার কারনে এরা প্রতি নিয়ত ব্যাপক হারে যৌন নির্যাতন এ শোষনের শ্বিকার হচ্ছে ।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঢাক ঢোল পিটায়ে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবশ পালন করা হলেও এ সব ছিন্নমৃল শিশুদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না । এদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে না । এক মুঠো ভাত আর একটু নিদিষ্ট আশ্রায় এদের জন্য সুদুর পরাহত । অথচ এদেরকে পুজিঁ করে বিভিন্ন এনজিও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন সংস্হা শিশু অধিকার বাস্তবায়নের নামে ফায়দা হাসিল করছে প্রতি নিয়ত । আমাদের এক রাষ্ট্রপ্রধান সাধারন জনগনের সস্তা বাহুবা পাবার জন্য ঢাক ঢোল পিটিয়ে ভালবেসে এদেরকে নাম দিয়েছিলেন পথকলি । গঠন করেছিলেন পথকলি ট্রাষ্ট। দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত ঐ পথকলি ট্রাষ্ট আলোর মুখ দেখেনি কিন্তু পথকলি ট্রাষ্টের নামে রাষ্ট্রীয় কোসাগার থেকে লোপাঠ হয়েছে কোটি কোটি টাকা ।
কিশোর অপরাধিদের সংশোধনের জন্য একটি কিশোর সংশোধন কেন্দ্র আছে কিন্তু পথকলি বা টোকাই শিশুদের অবস্হার উন্নয়নের জন্য সরকারী বা বেসরকারী তেমন কোন কার্যকরি উদ্দ্যেগ নেই ।যদি তেমন কোন কার্যকরি উদ্দ্যেগ থাকত তা হলে দিন দিন এদর সংখ্যা হ্রাস পেত ।
সুতরাং এ সকল অবহেলিত পথকলি শিশুদের অবস্হার উন্নয়নে পাশা পাশি এদের খাদ্য, বস্ত্র ,বাসস্হান, শিক্ষা , ও চিকিস্হা ব্যবস্হা নিশ্চিত করার জন্য সরকারী বেসরকারী উদ্দ্যেগ নিতে হবে । এরা আমাদের সমাজেরই অংশ । এদেরকে বাদ দিয়ে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কখনও সম্ভব নয় ।