গিয়েছিলাম সিলেটে হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার জিয়ারতে। জিয়ারত শেষে ডান দিকে ঢুকে বায়ে চোখ তাখিয়ে দেখলাম নায়ক সালমানের কবর । একটু তাকিয়ে থাকার পর চোখের সামনে ভেসে উঠে সালমান শাহর জীবনী ।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন জনের সাথে আলাপকালে নাম না বলার শর্তে তারা আলাপ চারিতা অবস্থায় বলেন সালমান শাহর মৃত্যু নয় লিনা চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন কবর দেওয়ার জন্য সালমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল মৌলভীবাজার থেকে এবং সমাপ্তী ঘটেছে বাংলার রাজধানী ঢাকাতে ।
৬ সেপ্টেম্বও ২০০৯ইং পালিত হয়েছে বাংলার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী, ভারক্রান্ত ছিল হৃদয় চলচিত্রের পরিচালক সহ সালমান শাহর অনুসারীদের । চলচিত্রের নায়কদের মধ্যে জনপ্রিয় নব-কুমার সালমান শাহ এর ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হল কিন্তু লালফিতার বন্দী থেকে আজও মুক্তি পেল না সালমানশাহ মৃত্যু কাহিনী। বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের অভাব না থাকলেও অভাব রয়েছে সালমান মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কর্মকর্তার। নায়ক জাফর ইকবালের মৃত্যুর পর তার শুন্যতা পূরণ করে সালমানশাহ । কিন্তু তাঁর শূন্যতা পূরণ হয়নি আজও ।
যেভাবে উত্তান ঃ চিত্রনির্মাত্রা, শিক ও গবেষক মতিন রহমানের মতে, কেয়ামত থেকে কেয়ামত নামে একটি ছবি বাংলাদেশে তৈরী হলো, রাতারতি ’ইমন’ নামের ছেলেটি সালমান শাহ নামে তারকাখ্যাতি পেয়ে গেল । চলচ্চিত্রে এই যুবরাজের আগমেনের আগে অনেকেই এসেছে- নাঈম, আমিন কিংবা অমিত। তাদের চেষ্টার কোনো ক্রটি ছিল না দর্শকের মন জয় করার। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, একজন নবাগত অভিনয়শিল্পী মাত্র একটি ছবিতে কাজ করে রাতারতি তারকাখ্যাতি কীভাবে পেয়ে যায়। এটা তখনই ঘটে, ছবিটি যদি হিট করে। তার প্রথম ছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত হিট -নায়ক সালমানও হিট -চলে এল দর্শক পছন্দের প্রথম সারিতে।
১৯৯৬-৯৭সালে প্রেমের ছবির যে জোয়ার বইতে শুরু করেছিল এর অধিকাংশ ছবির নায়ক ছিল অমর সানি ও সালমান। পরিচালকেরা নানা কারনে সালমানকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেন । তখন “তোমাকে চাই” ছবিতে প্রযোজকের ইচ্ছায় সালমান ও শাবনুরকে জুটি বাধার কথা সালমানকে প্রস্তাব করা মাত্রই রাজি হয় সে । কোন গল্প কোন প্রারিশ্রমিকের প্রশ্ন না তোলে সংঙ্গে সংঙ্গেই রাজি হয়ে গেল সালমান! অভিনয়ের পথে চলতে গিয়ে পরিচালকদের নির্দেশ মনোযোগ ও নিষ্টার সংঙ্গে পালন করাই চিল সালমানের কাজ। তোমাকেই চাই ছবির ইউনিট নিয়ে বারিধারা আবাসিক এলাকায় যখন শুটিং চলছিল গল্পের বিন্যাসে তখন নাইকা শাবনুরের সংঙ্গে সালমানের চলছিল বিরহ কাল…।
সালমান নামের যুবরাজ বাংলা চলচ্চিত্রের মোড় গুরালেও স্বল্প সময়ে থেমে গেল সকল কিছু, চিরবিদায় নিল নিরবে, নিবৃত্তে সেই চলচ্চিত্রের পর্দার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। কালো মেঘের আড়ালে সালমান নামের ঝল ঝলে তারকা ডেকে গেল। তার বিদায়ের আগের রাত ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৬, নাজির আহমদ ডাবিং থিয়েটারের সিড়িতে বসে সালমান শাহ তার বিদায় নেওয়ার কথা না বলে তার পরিচিত অনেককেই বলে বিরহ আবেগ আর বেদনার কথা পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নায়ক সালমান। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ ১৩বছর পের হলেও জানা হলো না … কি ছিল নায়ক সালমানের মনের বেদনা?