অবিশ্বাস্য এক্সপেরিমেন্ট!
গতকাল ভোরেই ভেবেছিলাম বেড়িয়ে পড়ি। সাড়ে পাঁচটায় ঘুমও ভেঙে গিয়েছিল। টিভি অন করে ওয়েদার রিপোর্টটা দেখে আর সাহস হলো না। ১৮ডিগ্রী ফরেনহাইট; ফীল লাইক ২ডিগ্রী! তার মানে -৮ডিগ্রী সেলসিয়াস; ফীল লাইক -১৭ডিগ্রী! সেই তুলনায় আজ ভোরে ছিল ২২ডিগ্রী ফরেনহাইট; ফীল লাইক ৬ডিগ্রী!
গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ভাবছিলাম পাগলামী হয়ে যাচ্ছে নাতো! পার্কে গিয়ে দেখি আমার আগেই আরো অনেক পাগল চলে এসেছে। কেউ শেষ করে চলেও যাচ্ছে। এবার ভরসা পেলাম। আমার পুরো ডিসেম্বর মাসটাই অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিল। ওদের জিজ্ঞেস করতে বলল যে কেউই মিস করেনি একদিন।
দুই পাক দৌড়াতেই সব ঠিক হয়ে গেল। বুঝলাম, ঠাণ্ডার ভয়তে না আসাটা ভুল ছিল। শুধু ঠাণ্ডা হাওয়াটা মুখে লাগতে তীরের মত বিঁধছিল।
সোয়া সাতটার দিকে সূর্য উঠতেই চারিধার আলো হয়ে গেল। আমারও প্রায় শেষ।
পার্কিং লটে আসতেই দেখি এক রূপবতী পরী! ভোরের আলোয় এমন রূপ…! মনটা ছলাত্ করে উঠলো। মনে হয় নতুন এসেছে। জিজ্ঞেস করলো পার্কিং লট কতক্ষণ খোলা থাকে আর ফ্রী কিনা। হাতে গাড়ির চাবি। মনে হয়– না জানাতে দূরে কোথাও গাড়ি পার্ক করে এসেছে। এবার মনে হয় গাড়ি এনে পার্কিং লটে পার্ক করবে। হেঁটে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে। একটু মোটা ধাচের। কবিরা বোধ হয় এই হাঁটাকেই রাজহংসীর হাঁটার সাথে তুলনা করেন। দেখা যাক- আবার দেখা হয় কিনা…