জান্নাত স্বপ্নীল সুখের স্থান। কোন কিছু মনে করার সাথে সাথে পৌঁছে যাবে আপনার সামনে। কে না চায় জান্নাতে যেতে? পৃথিবীর সবাই জান্নাতের প্রত্যাশী। সে যে ধর্মের ও বর্ণের হোক না কেন? পৃথিবীর বড় বড় পাপিষ্ঠ ব্যাক্তিরাও মনে করে তারাও জান্নতে যাবে কোন এক সময়। ছোট্ট একটি শিশুকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয় ,তমি জান্নতে যেতে চাও? না কি জাহান্নামে যেতে চাও? সে নিদ্বিধায় বলবে জান্নাতে যেতে চায়। এ যে জান্নাতে যাওয়ার সকল মানুষের একটা স্বাভাবিক আকর্ষন এটাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর শিক,ধর্মগুরু,পুরোহিত, পীর,আলেম ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করে,জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে। জান্নতের লোভ দেখিয়ে যুব সমাজকে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত করে। যা রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে দেশের সচেতন জনসাধারণদের। সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজ মনে করে জান্নতে যাওয়ার জন্য কোন পীর,আলেম ও পুরোহিতকে মাতে হয়। এ ধারণার কারণে এক শ্রেণীর আলেম ও পীর সাহেবদের হাতে সবর্স্ব হারাচ্ছে যুব সমাজ। আসলে আল্লাহপাক কোন ব্যাক্তির হাতে জান্নাত দেননি। জান্নাতে যাওয়ার জন্য ঈমান আনার পাশাপাশি সৎ কর্ম সমূহ সম্পাদন করা প্রয়োজন। আর সৎ কর্ম সমূহ সম্পাদন করার সূবর্ণ সময় হচ্ছে যৌবনকাল। যৌবনের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমেই জান্নাত অর্জন করা যাবে। এজন্য যুবকদেরকে আল্লাহ ও রাসুল (স সবচেয়ে বেশী ভালবাসতেন। যুবকদের একবার ডাকে আল্লাহপাক সত্তরবার সাড়াদেন। কিস্তু যৌবনকালে যুবকেরা ধর্মের ধারও ধারে না। আল্লাহ ভক্তি-আল্লাহভীতি-ধর্মভাব যদি যৌবনকালে না থাকে,তবে সে জীবনের কোন উন্নতি সম্ভব নয়। সততা,ন্যায়নিষ্ঠা,সত্যনিষ্ঠা,আল্লাহ প্রেম,রাসুল প্রেম এসব যদি যৌবনকালে না হয় তবে কি আর বুড়াকালে হবে? যৌবনকালে যুবকেরা অন্যায়,অধর্ম,জুয়াচুরি,প্রতারনা করতে যেন বাহাদুরী বোধ করেন। আল্লাহ কি ,ধর্ম জিনিসটি কি ভুলেও দেখে না। গায়ের জোরে গর্জে বেড়ায় এ যে কতবড় অন্যায় তা বলবার নয়। যেন যুবকদের ধর্ম-কর্ম এবং আল্লাহর কোন সংশ্রব নেই-যেন সেগুলো বুড়াকালের জিনিস। যখন যৌবনের উত্তেজনা তার শিরায় শিরায় নৃত্য করে তখন উচ্ছৃঙ্খলতা ,সৎ নিয়মের অবমাননাই হয় তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বিষয়। যে যৌবন আল্লাহর ইবাদতে নিবেদিত হলো না,বৃথাই সে যৌবন। যা কিছু শ্রেষ্ঠ ও সুন্দর সাধনা তার শ্রেষ্ঠ সময়ই যৌবনকাল। এই সময় যদি কদর্য শয়তানী প্রভাবে আত্মা অধ:পতিত হয়,তবে আর সে জীবনের আশা নেই। পরমুখাপেক্ষী না হয়ে স্বাধীনভাবে পরিশ্রম করে,সৎকাজ করে যৌবনকে সার্থক কর। যৌবন যদি বৃথা নষ্ট করে ফেল-হঠকারিতা,প্রগলভতা,বাচালতা,বিলাসিতা,চরিত্রহীনতা প্রভৃতি দ্বারা জীবন নষ্ট করে ফেল,তা হলে শেষ কালে অনুতাপ করেও কোন ফল হবে না। তাই আসুন জেনে নিই জান্নাতে যাওয়ার জন্য কি.কি.করনীয় ও বর্জনীয়। নিন্মে তা পেশ করা হল ঃ
* জান্নাতে যাওয়ার শর্ত দুটি ঃ
হযরত সহল ইবনে সাদ (রা থেকে বর্ণিত রাসুল (স বলেছেন-তেমরা যদি দুটি জিনিসের জিম্মদারী গ্রহন কর,আমি রাসুল (স তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মদারী গ্রহণ করিব। এর একটি হল দুই ঠোঁঠের মধ্যবর্তী স্থান জিহবা,আর অন্যটি হল দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থান লজ্জাস্থান। (বুখারী ও মুসলিম)
* কেন এদু’টি জিনিসকে জান্নাতের শর্ত বানানো হল?
পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,দুনিয়ার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সকল অঘটন,দূঘর্টনা,যুদ্ধ-মহাযুদ্ধ,খুন-রাহাজানি,মারামারি-হানাহানি সব কিছুর মূলেই এ দুটি জিনিসই দায়ী। মুখের সামান্য কথার কারণে যুদ্ধ বেঁধে কত দেশ-জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। মানব জাতির উত্থান ও পতনের মূলেও রয়েছে এ দুটি জিনিস। আর পৃথিবী ধ্বংসের জন্যও এদুটি জিনিসই দায়ী থাকবে। এজন্য রাসুল (স এ দুটি জিনিসকে জান্নাতের শর্ত বানিয়েছেন। কারণ যারা এদুটি জিনিসকে সংরন করে ভালকাজে ব্যবহার করেছে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সোনার মানুষে পরিনত হয়েছে। তাদের জন্যই জান্নাতের সৃষ্টি। আর যারা এদুটি জিনিসকে সংরন না করে ভাল কাজের পরিবর্তে খারাপ কাজে ব্যবহার করেছে তারাই পৃথিবীর নিকৃষ্ট কীটে পরিনত হয়েছে। আর তাদের মেহমানদারীর জন্যই তো জাহান্নামের সৃষ্টি। আসুন জেনে নিই এ দুটি জিনিস মানব সভতার আর কি.কি.তির সম্মুখিন করছে।
* মুখের বিশ বিপদ ঃ পৃথিবীর সমস্ত ঝগড়া-বিবাদ,যুদ্ধ-বিগ্রহের মূলে এ মুখের ভূমিকাই প্রধান। কারণ বোবাদের কোন শক্র নেই,আর তাদের জন্য কোন অঘটন-ঝগড়া-বিবাদের ও সৃষ্টি হয় না। তাই মুখের সমস্যায় সবচেয়ে ভয়ংকর। এটা অস্ত্রের চেয়েও মারাত্মক। কারণ অস্ত্রের আগাত ত শুকানোর সাথে সাথে ভুলে যায়,কিন্তু মুখের আঘাত সহজে ভোলা যায় না। তাই এ মুখকে হেফাজত করা অতীব প্রয়োজনীয়। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ)তার এহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থে মুখের বিশ প্রকার বিপদের উল্লেখ করেছেন। নিম্নে তা সংপ্তি উল্লেখ করা হল br /> ১.মুখের প্রথম বিপদ ঃ অনাবশ্যক বাক্য ব্যয়। অনাবশ্যক বাক্য ব্যয় সাধারণত তিনটি কারণে হয়-ক) যে কার্যে প্রয়োজন নেই তা জানবার আগ্রহ করা। খ) ভালবাসার উদ্দেশ্যে তার সাথে কথা-বার্তায় আনন্দ লাভ করা। গ) অপ্রয়োজনীয় কথার দ্বারা সময় অতিবাহিত করা। এ তিনটি কারণে বর্তমান যুব সমাজ “সময়” নামক মহামূল্যবান সম্পদকে নষ্ট করে দেশ-জাতি ও নিজেদের ক্যারিয়ার জীবনের বিপর্যয় ঢেকে আনছে।
২.মুখের দ্বিতীয় বিপদ ঃ বাহুল্য কথা বলা। যে কথার মধ্যে কোন উপকার নেই,এমন কথা বলা এবং উপকারী হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা। বর্তমান যুব সমাজ ডেটিংয়ের নামে যা করছে তাই হল বাহুল্য কথা।
৩.মুখের তৃতীয় বিপদ ঃ অসত্য বিষয়ে অনর্থক বাক্য ব্যয় করা। যেমন-প্রেমিক-প্রেমিকার রুপ লাবন্য বর্ণনা কার,মদ পানের জলসার আলোচনা করা,পাপী লোকের প্রশংসা করা । এসমস্ত কাজে আমাদের যুব সমাজ যেন প্রথম পুরস্কার পাবে।
৪.মুখের চতুর্থ বিপদ ঃ ঝগড়া ও বিবাদ বিসম্বাদ করা। বর্তমান যুব সমাজের কথায় কথায় ঝগড়া করা যেন একটি স্থায়ী অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
৫.মুখের পঞ্চম বিপদ ঃ ধন-সম্পত্তির বিবাদ-বিসম্বাদ। এটা অত্যন্ত জঘন্য। প্রথমে তর্ক-বিতর্ক তারপর বাবানুবাদ,তারপর ঝগড়া-বিবাদ,তারপরে খুনা-খুনি এরকম বিবাদে কত পরিবার অকালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
৬.মুখের ষষ্ঠ বিপদ ঃ কথা সাজিয়ে বা বাক্য সুবিন্যস্ত করে কথা বলা। প্রেমিকাকে পটানোর জন্য প্রেমিকরা কথাকে কত রকমে ,কত ধরনের সাজিয়ে বলে তার কোন ইয়ত্ত নেই।
৭.মুখের সপ্তম বিপদ ঃ অশ্লীল বাক্য ও কুবচন। বর্তমান যুব সমাজ এক্ষেত্রে ওস্তাদ। অশ্লীল কথার প্রতিযোগিতায় যেন শয়তানকেও হার মানাবে। ডা: লূৎফর রহমানের মতে,যৌবনকালে কি বিবাহিত কি অবিবাহিত পাঁচজন একস্থানে জমা হলে অতি জঘন্য অতি কুৎসিত আলাপ করা যুবকদের বড়ই প্রিয় অভ্যাস। নারীর অঙ্গ নিয়ে এরা যে কত জঘন্য আলাপ করে তা প্রকৃত মনুষ্য সন্কান শুনলে তাদেরকে একপাল বিষ্ঠাভোগী কুকুর বলবেন।
৮.মুখের অস্টম বিপদ ঃ অপরকে অভিশাপ দেওয়া। বর্তমান যুব সমাজ প্রতি কথায় যেন অপরের চৌদ্দ গোষ্ঠিকে অভিশাপের আগুনে জ্বালিয়েই ছাড়ে।
৯.মুখের নবম বিপদ ঃ খারাপ কবিতা ও সঙ্গীত। বর্তমানে এগুলোর সোনালী যুগ চলছে। যুব সমাজের সময় কাটে এগুলোর চর্চায়।
১০.মুখের দশম বিপদ ঃ অশালীন হাস্য কৌতুক। এটা যেন বর্তমান যুব সমাজের হৃদয়ের খোরাক।
১১.মুখের একাদশ বিপদ ঃ উপহাস এবং ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা। অতি আধুনিক এ যুব সমাজ কত হাজার রকম ও ধরনের উপহাস ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে তার কোন হিসাব নেই।
১২.মুখের দ্বাদশ বিপদ ঃ গুপ্ত প্রকাশ করা। অপকর্ম করে সেগুলো প্রকাশ করে বাহাদুরী জাহির করা বর্তমান যুব সমাজের বড়ই প্রিয় অভ্যাস।
১৩.মুখের ত্রয়োদশ বিপদ ঃ মিথ্যা অঙ্গীকার করা। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে রাজী করানোর জন্য কত হাজার মিথ্যা অঙ্গীকার করে তার কোন হিসাব নেই।
১৪.মুখের চর্তুদশ বিপদ ঃ মিথ্যা ভাষন। মিথ্যা ভাষন দেয়া বর্তমান রাজনীতিবীদদের বড়ই প্রিয় অভ্যাস।
১৫.মুখের পঞ্চদশ বিপদ ঃ পরনিন্দা করা। পরনিন্দা করা বর্তমানে আমাদের নারী সমাজ ও রাজনীতিবীদদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
১৬.মুখের ষষ্ঠদশ বিপদ ঃ চোগল খোরী ও কান কথা। এটা যেন আমাদের যুব সমাজের ও রাজনীতিবিদদের কালচারে পরিনত হয়েছে।
১৭.মুখের সপ্তদশ বিপদ ঃ দ্বিমুখী ভাবাপন্ন হওয়া মুনাফিকী করা। এটা আমাদের জাতীয় নেতাদের ফ্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে।
১৮.মুখের অস্টদশ বিপদ ঃ প্রশংসা করা। মিথ্যা প্রশংসা করে মাটির মানুকে আকাশে উঠিয়ে দেন আমাদের যুব সমাজেরা।
১৯.মুখের উনবিংশ বিপদ ঃ কথার মধ্যে অমনোযোগিতা ও অসর্তকতা। এটা আমাদের যুব সমাজ ও রাজনীতিবিদদের একটি অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
২০.মুখের বিংশতি বিপদ ঃ আল্লাহ সম্পর্কে অনাকাংখিত প্রশ্ন করা। এক্ষেত্রেও আমাদের যুব সমাজ পিছিয়ে নেই।
এ বিশটি বিপদের কারণে আমদের এ শান্তির পৃথিবী আজ অশান্তির নরককুন্ডে পরিনত হয়েছে। মানব সভ্যতা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। তাই পৃথিবীকে রা করে শান্তির পৃথিবী গড়ার লে এবং জান্নাতে যাওয়ার প্রয়োজনে মুখকে এ বিশ প্রকার বিপদ থেকে রা করতে হবে। তাই আসুন তারুণ্যের প্রেরণায় জেগে উঠি রা করি মুখকে এ বিশ প্রকার বিপদ থেকে।
* যৌনাঙ্গের দশ বিপদ ঃ
মুখের পরে পৃখিবীতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রধানতম দায়ী হচ্ছে যৌনাঙ্গ বা লজ্জাস্থান। এটার অপব্যবহার গোটা পৃথিবীকে অশান্ত করে তোলে। যুগে যুগে শত শত জাতি যৌন উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমান ইউরোপ ও আমেরিকা ও যৌন উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে ধ্বংসের পর্যায়ে পৌঁেছছে । কত মানব-মহামানব ও একারণে ধ্বংস হয়ে গেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। বর্তমান প্রযুক্তির যুগ। অবাধ যৌনাচার ও যৌন স্বাধীনতার সোনালী যুগ। অবাধ যৌনাচারের েেত্র মানুষ পশুত্বকেও হার মানিয়েছে। অবাধ যৌনাচারের কারণে মানব সভ্যতা বর্তমানে বিলীন হওয়ার পথে। নির্যাতিত পৃথিবীবাসীদের আত্মচিৎকারে পৃথিবীর অন্যান্য প্রানীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাই শিকল পরাতে হবে অবাধ যৌনাচারকে তা না হলে যুব সমাজ সহ মানব সভ্যতাকে রা করা কঠিন হবে। নিন্ম যৌনাঙ্গের বিপদ সমূহ উল্লেখ করা হল ঃ
১.যৌনাঙ্গের প্রথম বিপদ ঃ হস্তমৈথুম। বর্তমানে যুব সমাজ হস্তমৈথুমের মাধ্যমে নিজেদের যৌবন শক্তিকে অকালেই শেষ করে দিচ্ছে।
২. যৌনাঙ্গের দ্বিতীয় বিপদ ঃ সমকামিতা। এেেত্র মানুষ পশুত্বকেও হার মানিয়েছে। কারণ পশু জগতেও সমলিঙ্গের যৌনতা নেই।
৩. যৌনাঙ্গের তৃতীয় বিপদ ঃ ধর্ষন। বর্তমান সভ্য দুনিয়ায় এটা হচ্ছে সবচেয়ে ঘূনিত কাজ। এর মাধ্যমে অকালে একাট নারীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
৪. যৌনাঙ্গের চর্তুথ বিপদ ঃ বেশ্যাগমন। এটা মানব সমাজকে যুব স¤প্রদায়কে পশুত্বের নিন্ম স্তরে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে মানবতা বিধ্বংসী এইডস রোগ পিছু নিচ্ছে মানব জাতির।
৫. যৌনাঙ্গের পঞ্চম বিপদ ঃ অবাধ যৌনাচার। এ েেত্র মানবজাতি পশুকেও টক্কর দিচ্ছে।
৬. যৌনাঙ্গের ষষ্ঠ বিপদ ঃ শিশু গমন। এটা মানব জাতির অবয়ের নিকৃষ্ট ও কদর্য রুপটি প্রকাশ করে।
৭. যৌনাঙ্গের সপ্তম বিপদ ঃ পশু গমন। এটা যৌন বিকৃতির চূড়ান্ত রুপ।
৮. যৌনাঙ্গের অস্টম বিপদ ঃ ওরাল সেক্স। এটি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করতেছে যুব সমাজের মাঝে।
৯. যৌনাঙ্গের নবম বিপদ ঃ কৃত্রিম যৌনাঙ্গ ব্যবহার। যা যুব সমাজের যৌবনকে কদর্য করছে।
১০. যৌনাঙ্গের দশম বিপদ ঃ বিকৃত যৌনাচার। এটিও বর্তমানে ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যৌনাঙ্গের এ দশটি বিপদের কারণে আজ মানব সভ্যতা ধ্বংসের মুখোমুখি। মানুষ পরিনত হয়েছে নিকৃষ্ট কীটে। পৃথিবীকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য এসমস্ত কীটদেরকে ধ্বংস করা প্রয়োজন। তাই দেশ,জাতি ও যুব সমাজকে বাচাঁতে হলে লজ্জস্থানকে কঠোর আইনের শিকলে বন্দী করতে হবে। তা না হলে নরকের কীট হয়ে অনন্তকাল জ্বলে পুড়ে মরতে হবে। তাই আসুন হে যুব সমাজ যৌনাঙ্গের হেফাজত করি জান্নাতে যাওয়া নিশ্চিত করি।
জান্নাতের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মনের স্থান হচ্ছে জান্নতুল ফেরদৌস। সেই জান্নতুল ফেরদৌসের মেহমান হওয়ার জন্য ৭ টি গুনাবলীর প্রয়োজন।
১. বিনয়ানত নামাজ আদায় ।
২. অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা।
৩. শরীর ও মনের যাকাত আদায় করা।
৪. যৌনাঙ্গকে যথাযথভাবে হিফাজত করা।
৫. আল্লাহ ও বান্দার আমানত সমুহ যথাযথভাবে সংরন করা।
৬. সকল অঙ্গীকার পূর্ণ করা।
৭. নামাজে পূর্ণ যত্নবান হওয়া।
আসুন হে যুব সমাজ কোরআন হাদিসের বর্ণিত গুনসমূহ অর্জন করে জান্নাতে যাওয়া নিশ্চিত করি।
তৃতীয় বিশ্বের গরীবদেশ গুলোর জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্রতার পাশাপাশি নৈতিক ও মূল্যবোধের অবয় এক বিরাট আঘাত। তাই যুব সমাজকে অবয়ের ঘুম ভাঙ্গিয়ে একেক জনকে খালেদ,তারেক,ইউসুফ,মুসা হয়ে নৈতিক চরিত্রের আলোক শিখা দিয়ে সকল অপকর্মের ধ্বংস সাধন করে আল্লাহর বিধানের আলোকে একটি খিলাফতের সাম্যের পৃথিবী গড়ে তুলে শাহাদাতের মৃত্যুবরন করে জন্নাতুল ফেরদৌসের মেহমানদারিত্ব নিশ্চিত করবো এটাই হোক বর্তমান যুব সমাজের অঙ্গীকার।
তথ্যসুত্র ঃ
১ মারেফুল কোরআন
২. এহইয়াউ উলুমিদ্দীন
৩.ডা: লুৎফর রহমান রচনাসমঙ্গ।