• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

বাংলা ব্লগ । Bangla Blog

এভারগ্রীন বাংলা ব্লগ

  • ই-বাংলা
  • লাইব্রেরি
  • হেলথ
  • ইবুক

জামাত শিবিরের ইসলামের নামে ভণ্ডামি ।

October 26, 2009 by গাংচিল

আজকাল দেখছি ব্লগে জামাত শিবির এবং স্বাধীনাতা বিরোধীদের নিয়ে বেশ লেখালেখী হচ্ছে ।যার যার মত করে প্রকাশ করছে
স্বাধীন ভাবে তাদের মতামত।
জামাত শিবির আসলে কোন ইসলামি দল নয়। জামাত শিবির হচ্ছে , ইসলাম বিরোধী, ক্ষমতালেপ্সু,সন্ত্রাসি ফ্যাসিবাদি একটি সংগঠন। যদের প্রধান কাজ হচ্ছে ইসলামের নামে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা দখল করা। জামাত শিবিরের
কায্যক্রম পর্যালোচনা করলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে ।
আমরা বাংঙালিরা এতটাই ধর্ম ভিরু যে আল্লাহ রাসুলের দোহাই দিলে কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা বিচার বিবেচনা না করেই আমরা ছোট্ট শিশুর মতো নতযানু হয়ে যাই, আর সেই সুযোগটিই গ্রহন করে এই ধর্ম ব্যাবসাযীরা।
ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা শুধু সামাজিক অবস্হারই পরিবর্তন করে নাই, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাও দখল করেছে।
এখনই উপযুক্ত সময় ঔসব বক ধার্মিকদের ভণ্ডামি প্রতিরোধ করা। ওদেরকে প্রতিরোধ করতে না পারলে আমাদের চিরাচরিত
সামাজিক অবকাঠামো, জাতীয়তা এমনকি স্বাধীনাতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ব্লগার ভাইবোনদেরকে বলি
আসুন আর দেরি নয় , এই মুহুত্তেই ওদেরকে সামাজিক ভাবে , ধর্মীয় ভাবে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিরোধ করে ধর্মনিপেক্ষ্য
সুখী স্বমৃদ্ধিপৃর্ন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার করি।
আজকের স্লোগান হোক, জামাত শিবির ধ্বংশ করো ধর্মনিপেক্ষ্য বাংলাদেশ গড়ে তোল ।

নিম্নে জামাত শিবির এবং তাদের দোসরদের ভণ্ডামির কয়েকটি নমুনা উপস্হাপন করছি।

১। ইসলামে স্বদেশ প্রেমের উপর বিশেষ ভাবে তগিত দেওয়া হয়েছে।বলা হয়েছে “যার মধ্যে স্বদেশ প্রেম নেই তার শধ্যে ঈমান নেই ।”(ইসলামে স্বদেশ প্রমের বিস্তর ব্যাখ্যা আছে, ব্যাখ্যায় গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও শেষ হবেনা) কিন্তু জামাতিরা
সেই স্বদেশ প্রেমের বেলায় কি কলেছে, তারা এদেশের স্বাধীনাতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছে, নির্বিচারে গন হত্যা চলিয়েছে, ধর্মের দোহাই দিয়ে এ দেশের মা বোনদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির হাতে তুলে দিয়ে, ধর্ষনে সাহায়্য করেছে(তাদের পালন কতা, রাজনৌতিক মিত্র বেগম খালেদা জিয়াও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি তাই তিনিও বীরাংগনা)। ইসলামের সব থেকে
ঘৃর্নিত কাজটি তাদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে।
অতএব এর পরেও কি তাদেরকে আমরা ধর্মপ্রান মুসলমান বলতে পারি?।

২। ইসলামে মহিলা নেতৃত্ব হারাম করা হয়েছে। যদি নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উপযুক্ত পুরুষ মানুষ থাকে, তাহলে কোন অবস্হাতেই
মহিলা নেতৃত্ব মানা যাবে না । কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি , ভণ্ড জামাতিদের সব কাজ কারবারই মহিলাদের সংঙে। বেগম খালেদা জিয়া তাদের নেতা । এখানে আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, খালেদা জিয়াও মহিলা, শেখ হাসিনাও মহিলা, কিন্তু খালেদা জিয়া তাদের নিকট হালাল আর শেখ হাসিনা হরাম । খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার চেয়ে বেশী সুন্দলী সম্ভঃবত এ কারনেই মুজাহিদ, নিজামিদের নিকট খালেদা জিয়াই বেশী পছন্দের। তাইতো জামাতের গোলাম আজম থেকে শুরু করে উপনেতা, পাতি নেতা পর্যন্ত ম্যাডাম খারেদা জিয়ার পায়ের নিচে বসতে দিদ্ধাবোধ করেন না ।
এর পরও কি আমরা বলতে পারি তারা প্রকৃত মুসলমান?।

৩। ইসলামে কারো গিবদ গওয়া হারাম। বলা হয়েছে কারো বিরুদ্ধে গিবদ গাওয়া, মরা ভাই এর মাংশ খাওয়ার সমান অপরাধ।
কিন্তু আমাদের দেলু রাজাকার ওরফে দেলোয়ার হোসেন সাইদি সহেব, উনার বক্তিতার মৃল বিষয়ই হল , সত্য মিথ্যা বলে
শেখ হাসিনার তথা আওয়ামিলীগের গিবদ গাওয়া আর খালেদা জিয়ার প্রসংসা করা।
এর পরও কি আপনারা বলবেন জামাত ইসলামি দল?।

৪। জামাতের বহু জনসভায় দেলু রজাকার , ঘোড়ায় চড়ে তরবারি দিয়ে মুক্তি যোদ্ধা হত্যাকারি মুজাহিদ, মুক্তি যোদ্ধা বুদ্ধি জীবি হত্যার নিল নকসা প্রনয়ন কারি নিজামি গোলাম আজমরা বলেছে , শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, জাতীয় স্মৃতি সৌদ্ধে যাওয়া হারাম, মুর্তিপুঁজার শামিল । কিন্তু আমরা কি দেখলাম ২০০১ সালে ক্ষমতার অংশিদারিত্ব গ্রহন করেই তারা শহিদ মিনারে গেলেন জাতীয় স্মৃতিসৌদ্ধে গেলেন, ফুল দিলেন, কিছুক্ষন নিরবতা পালন করলেন । ইসলামের ভাষায় যাদের কথা এবং
কাজে মিল নাই দতাদেরকে বলে মুনাফেক। ইসলামে মুনাফেকদের জন্য কঠিন সাজা অপেক্ষা করছে ।
তাহলে আমরা কি জামাতিদের মুনাফেক বলতে পারি না ?

উপরক্ত উদাহরন গুলি খুবই নগণ্য । জামাত শিবিরের অপকর্মের ইতিহাস লিখতে গেলে কাগজ ফুরাবে,
কলমের কালি ফুরাবে কিন্তু তাদের অপকর্মের ইতিহাস শেষ হবে না ।।
ধন্যবাদ

—————————–

Category: ব্লগ

About গাংচিল

Previous Post:ছুটির দিনে আলসেমি
Next Post:পথে-ঘাটে (পর্ব – ৫) মর্ণিং-শো

eBangla.org