লাস্ট লেখাটা শেষ করেছিলাম এই গানটা শুনতে শুনতে। আজ আবার লিখছি এই গানটা শুনতে শুনতে। গানটা আজ সারাদিন ধরে ঘরে বাজছে। একটা সময় নিউ মার্কেট-এর ক্যাসেটের দোকান থেকে পছন্দের গানগুলো বেছে বেছে নিয়ে আলাদা ভাবে ক্যাসেট করিয়ে আনতাম। পকেট হালকা হয়ে যেত…তবুও…। আবার ক্যসেটগুলোও স্পেশাল ব্রান্ডের কিনতাম…অনেক দিন টিকবে বলে। তারপর যাত্রা শুরু হলো এমপিওথ্রি-র হাত ধরে। সিডিতে কিনে, ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে আবার পছন্দের গানগুলো আলাদা আলাদা সিডিতে করার পেছনেও সময় চলে গেছে অনেক। তারপরতো আরো অনেক ফরম্যাটে গান শোনার পদ্ধতি চলে এসেছে।
তো প্রথম বাছাইকৃত গানের যে ক্যাসেটটা করিয়েছিলাম, সেটা ছিল মনি কিশোর-এর। মনি কিশোরের গানের সাথে পরিচয় ক্লাস এইটে থাকাকালীন সময়ে। এক প্রাইভেট টিউটর + আঙ্কেল লজিং থাকতেন আমাদের এলাকায়। ওয়াকম্যানে গান শোনার খুব শখ। রাতে পড়াতে যাবার ঠিক আগে হেডফোন খুলে রাখতেন; আবার আমাদের পড়ানো হয়ে গেলে কানে তুলে চোখ বুঝে শুয়ে পড়তেন। অবাক হতাম লাইফ স্টাইল দেখে! ভাবতাম কবে বড় হব, কবে ওরকম একটা ফ্রি লাইফ পাব- যখন ইচ্ছে গান শোনার…। দুপুরের বেলাটায় বাড়িতে থাকতেন না। এই ফাঁকে একদিন তুলে নিলাম তার ওয়াকম্যান। কানে তুলে নিয়ে ওন করতেই- ‘তুমি বুঝলেনা কোনদিনও আমার মনের বেদনা…’ আহা! পাশেই ক্যসেটের খাপটা পড়ে- মনি কিশোরের ‘তুমি বুঝলেনা’…
নিজের টাকায় প্রথম কেনা ক্যাসেটটি ছিল ‘তুমি বুঝলেনা’, সাথে মনি কিশোর-এর আরো একটি- ‘উত্সব’ এবং এলআরবি-র ‘সুখ’। ক্লাস নাইনে পড়ি। ৩৫টাকা করে। তবে তিনটার দাম ১০০ রাখলেন দেব’দা। এই পাঁচ টাকা ডিসকাউন্ট দেয়ার জন্য তার দোকান থেকে এর পর যে কি পরিমান ক্যাসেট কেনা হয়েছে তার হিসাব যদিও করা কঠিন, তবুও এখন মাঝে মাঝে আমি ভেবেই অবাক হই।