• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

বাংলা ব্লগ । Bangla Blog

এভারগ্রীন বাংলা ব্লগ

  • ই-বাংলা
  • লাইব্রেরি
  • হেলথ
  • ইবুক

মেজাজখানা আইসক্রিমের মতো

August 14, 2009 by শ্রাবণ আকাশ

‘মেজাজখানা আইসক্রিমের মতো’ রাখতে হবে–
ফাজলামীর আর জায়গা পাও না!
বোঝাই যাচ্ছে ‘মেজাজখানা আইসক্রিমের মতো’ নেই
কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়
হঠাত করে পুরো অতীত নিয়ে নাড়াচাড়া
ততই বিরক্ত। গরমটাও পড়েছে
সকালে উঠে ওয়ার্কআউট মিস হয়ে যাচ্ছে
করবোটা কি
ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে যাচ্ছে
হবে না– ঘুমোতে যে দেরী হয়ে যাচ্ছে
হবে না– ঘুমের আগে এত চিন্তা ভাবনা থাকলে কি আর তাড়াতাড়ি ঘুম আসে
ভাবনা আর ভাবনা
হবে না– বয়সটাতো আর থেমে থাকছে না
বয়স নিয়ে ভাবার কি দরকার
ভাবনা হবে না– মা-বাবা আছে কি জন্য
সকাল-বিকাল মনে করিয়ে দিচ্ছে
ওকে! কুল ডাউন

হয়েছে কি- ভোরে উঠে সপ্তাহে ৩দিন দৌড়াতে যাচ্ছি
এই ৮ তারিখে ২ মাস হলো
টানা ২৫ মিনিট পারছি
ভাবছিলাম ৩য় মাস থেকে ৩০ মিনিট হয়ে যাবে
দেখলাম হচ্ছে না
ব্যাপার কি
সপ্তাহ খানেক ঘুম থেকে উঠতে ১ ঘন্টা দেরী হয়ে যাচ্ছে
তার মানে দিনটা ১ ঘন্টা দেরীতে শুরু
কাজে তো সময় মতো যেতে হবে, নাকি
একটু তাড়াহুড়ো হয়ে যায়– হবার কথা নয়
ভেবে আবার মেজাজটা খারাপ হচ্ছে
ওকে! কুল ডাউন

হয়েছে কি- তারা মেয়ে খুঁজে পাচ্ছে না
পাচ্ছে তো পছন্দ হচ্ছে না
বলিহারি! এখনো সেই যুগে পড়ে আছো!
কি করবো, কেউ কোনোদিন আমারে তো…
ওকে, ওকে, বুঝতে পারছি
আসলে সে এক বিরাট ইতিহাস
শুনতে আপত্তি নেই,
কিছু করার থাকলে কি আর এসব ফালতু প্যাচাল শুনতে আসি
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি- ওই মেয়েটির সাথে একদিন বিয়ে হবে
ব্যাস হয়ে গেল একটা এফেক্ট
(এখন ভাবি- এটা ধরনের একটা পরিহাস…)
তারপরও যে এদিক-ওদিন চোখ যায়নি- তা নয়
তবে ওই পর্যন্তই
এখন শুনি তেনারা এখনো মেয়ে বিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন না
আর দিলেও যে কপালে জুটবে- এমন কোনো কথাও নেই
বোঝো ঠেলা
মা’র প্রশ্ন- এত স্কুল কলেজে গেলি, কোনো পছন্দ নেই
সুরটা কেমন যেন একটু করুণ করুণ শোনায়
তবুও আমি নির্বিকার
কয়েকদিন মনে মনে হেসেছি
এখন মেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছো
দেখো কেমন লাগে
একসময় তোমাদের ভয়তেই কারো সাথে কোনো কিছু হলো না
এই একটা ব্যাপার আমি বুঝি না
আমাদের দেশে প্রেম-ট্রেম করা বা মেয়েদের সাথে মেলামেশা কেন এতো খারাপ চোখে দেখা হয়

তো সেই থেকে মনে মনে হিসাব করছি
জানা-শোনা কেউ আছে কি না
এসব হিসাব করতে গিয়েই সবকিছু গন্ডোগোল হয়ে যাচ্ছে
ঠিকই ধরেছো

হঠাত মনে এলো
বছর কয়েক আগে
তখনো পড়াশুনা করছি
টাকা-পয়সার কিছু টানাটানি যাচ্ছিল
কলেজের পাশে এক ফাস্ট ফুডের দোকান
বাঙ্গালী ম্যানেজার
পার্টটাইম
‘হঠাত দেখা তোমার সাথে/ তুমি কে, তুমি কে’
আবার গান ধরলে নাকি
হুম্‌ম্‌… একটু এক্সসাইটেড হয়ে পড়ছিলাম
বুঝতে পারছি
নাহ্‌ সেভাবে কিছু ভাবিনি
দেশ থেকে নতুন এসেছে
শুধু শুধু তো আর ঘরে বসে থাকতে পারে না
ম্যানেজারের জানাশোনা
তাই এখানে নিয়ে এসেছে
কাজে হাতেখড়ি
কয়েকদিন পরে একসাথে ছুটি
বাড়ি ফেরার পথ একই
ট্রেনে আসতে আসতে কথা এই একটু জানাশোনা হচ্ছিল
মেডিকেলে পড়ত
কাগজ-পত্র সব পেয়ে গেলে ফিরে গিয়ে মেডিকেল শেষ করে আসবে
এই সব আর কি…
এর পর আমি ব্লাঙ্ক
কবে কিভাবে ওই কাজটি বাদ দিয়েছি ঠিক মনে রাখিনি
লাস্ট চেকটা নিতে গিয়ে আরেকজনের মুখে শুনলাম
সেও কাজ ছেড়ে দিয়ে ফিরে গেছে – না কি যেন
বিষয়টিতে খুব একটা আগ্রহ দেখাইনি
না জানি আবার কি মনে করে বসে
সেই থেকে আয়না দেখি না
কি বললে, আয়না
নাহ মানে সেই থেকে আর…
হুম্‌…

‘আজ এতদিন পরে
জীবনের জলসা ঘরে
সুখের প্রদীপ তুমি জ্বেলে দিলে
কষ্টের মেঘগুলো
বুক থেকে সরে গেল
পূর্ণিমা হয়ে তুমি কাছে এলে…’
এভাবেই হয়তো স্বপ্ন সাজাচ্ছিলাম
বেকুব কাকে বলে আর কি
মা যখন বার বার করে বলছিল
তখন ঘটনাটা বললাম
তাহলে ঠিকানা দে
‘আমি তার ঠিকানা রাখিনি…’
তাহলে উপায়
ভাগ্যিস নামটা মনে ছিল
ইন্টারনেট ঘেটে দেখলাম
পুরো শহরে কয়েকশ লিস্ট
ধরিয়ে দিয়ে বললাম এবার ছাই উড়িয়ে দেখো
মিললেও মিলতে পারে…
কপাল খুবই ভালো- প্রথম ফোনেই মিলে গেল
কপাল খুবই খারাপ- কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়ে গেছে…

Category: ব্লগ

About শ্রাবণ আকাশ

Previous Post:গরমটা শেষ পর্যন্ত এলো তাহলে
Next Post:যত দোষ নন্দ ঘোষ

eBangla.org