১
পৃথিবীর দ্বিতীয় নারী তুমি কেমন আছো আজ
এই প্রাচীন নগরে রুদ্রগন্ধ মাখা রাতে?
হৃদয়ের গহীন তবু হৃদয়- জোছনার স্পর্শলাগা মাটি হয় ক্ষয়
তোমার নিঃশ্বাসে- বিষমড়াকাক, হলুদ পিপড়ে আর হরিণের লাশ
এত সব চিহ্ন এঁকে যে ঘুড়ি উড়িয়েছো নীরবে
তার সবকিছুই বিষন্নতায় মেঘ হয়ে আসে, চরাচরে তাই নিস্তব্ধ বাতাস।
২
নারী তুমি ঘাস
বিনিদ্র রাজহাঁস
মেঘে আর মেঘে
জোছনা আবেগে
নিদারুন ইতিহাস
নারী তুমি ঘাস
তোমার প্রেমে পোড়া
পুরুষের নিঃশ্বাস
৩
শতাব্দীর প্রাচীন দুঃখগুলো নিয়ে
আমি রয়েছি দাঁড়িয়ে-
কোন এক নিঝুম সন্ধ্যায়
তুমি আসবে হাতে নিয়ে রূপালি আকাশ।
বুলিয়ে দেবে হাত-যেখানে আমার গোপন সর্বনাশ।
৪
পাথর হয়ে আছি-
শতাব্দীর প্রাচীন পুরুষ আমি;
মেঘজোছনার আলোয় উদ্ভাসিত
পথ-ঘাট-অরণ্যে পাশে আছে এক দল অন্ধজোনাকি।
৫
এমনি এক নীরব সন্ধ্যায়
একহাটু কাদায় ফেলেছি এক ঘটি জল
কোন এক বিপরীতমানুষ
যার চোখে ছিল রূপালি কাজল
তার উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে পুড়েছিল ঘর
অনন্ত অম্বরে হাহাকার ছড়িয়ে সাজিয়ে ছিল সে বেদনাবাসর
আমিও য্যান কেরাম মানুষ-
লুঙি গুটালে খেয়াল থাহেনা, হয়া উঠি ব্যাকুল-বেহুঁশ ।
৬
এক অদ্ভুত পাখি ডেকে যায় ভেতরে আমার অর্হনিশ
অথচ আমি আমাকে দেখতে পাইনা;
সব আছে তোমাদের ভেতর
ভোরকাকরোদ- চিলডাকাদুপুর কিংবা নির্জনসন্ধ্যা।
আমি নেই – আমার শূণ্যতা- কেবল একটি পাখি ডেকে যায় ভেতরে আমার
আয়নায় চেয়ে দেখি ঘাসপ্রজাপতি এক – ভাঙ্গা তার ডানা।
৭
তোমার জন্য একটা পৃথিবী গড়তে গিয়ে ভেঙ্গে ফেললাম পৃথিবীটাই অবশেষে
৮
তোমার পবিত্র চোখে গড়ায় আমার অপবিত্র যত জল
© rudra sakal