কিছুদিন ধরে মুখের ভিতরের দিকের একপাশটায় চিন-চিন ব্যথা। দেখা গেল মাড়ির একটা দাঁতের ফিলিং কিছুটা ক্ষয়ে গেছে। (দাঁত থাকতে তার মর্যাদা কজন বোঝে!) যাই যাই করেও ডাক্তারের কাছে যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু দাঁতের প্রতি এবার আমার যত্ন মাঝে মাঝে নিজের কাছেই বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়। কিছু খেলেই দাঁত ব্রাশ করে আসি। কিন্তু ব্যথাটা কিছুতেই কমছে না।
দুদিন আগে আয়নার সামনে গিয়ে ভালো করে মুখের ভিতরটা দেখলাম। ব্যথার কারণটা মনে হয় বুঝতে পারলাম। বাংলায় যাকে বলে আক্কেল দাঁত, তার একটা উঠছে। কিন্তু মুখের ভিতরের মাংসের (বা চামড়া যাই হোক) জন্য ভালো করে হা করার পরও দেখা যায় না। আঙুল দিয়ে ঠেলে ঠেলে দাঁতের সংখ্যা গুনতে গিয়ে এটাকে আবিস্কার করলাম। মজার তথ্যটা হল এত করে দাঁত ব্রাশ করার পরও এই বিশেষ দাঁতের আসেপাশের ময়লা পরিস্কার হয় না। আসলে ওই দিকটার মাংশপেশীর জন্য ব্রাশ ওখানে পৌঁছায় না। এটা বোঝার পর আরেকটা জিনিস বুঝতে পারলাম- মাঝে মাঝে মুখের দুর্গন্ধ। যা হোক, এর পর থেকে ওদিকটা আঙুল দিয়ে বিশেষ ভাবে পরিস্কার করা লাগছে।
টাইটেলের সাথে লেখাটা মিলছে না, তাই তো? আসল ঘটনাটা হল- আজ রাতে খাবার পর বাথরুমে গিয়েছি মুখ ধুতে। বাথরুমে ঢোকার পরই ডান দিকে ছোট একটা আয়না আছে। এর পিছনে কয়েকটি তাক আছে, তার সামনে দরজার মত একটা পাল্লা, আয়নাটা তাতেই লাগানো। পারতপক্ষে আয়না দেখি না (দেখার কিছু নাই)। বাথরুমের আয়নার সামনেও দাঁড়াই না। তবু ঢোকার পরই একবার চোখ যায়। আজ ঢুকেই দেখি নিজেকে আর দেখছি না। বুকের ভিতরটা ধপাস করে উঠলো। ইনভিজিবল ম্যান!
আসলে কেউ একজন তাকের দরজাটা ঠিক বন্ধ করে নাই। অনেকটা ৩০ ডিগ্রী কোনে খোলা পড়ে ছিল। তাই ঢুকেই…
“…আয়নার সামনে দাঁড়ালে শুধু নিজেকেই দেখা যায়…সেই থেকে আর আয়না দেখি না…”– এ রকম একটা লাইন আছে। কার যেন…?