এ এক অদ্ভুত অনুভূতি।
শেষ পর্যন্ত গরমটা সত্যিকার অর্থে শুরু হয়ে গেল। মনে আছে এই ২০ তারিখ রাতেও খুব ঠান্ডা…কম্বল…। পরের দিন হঠাত করে ৮০ ডিগ্রী ছুঁইছুঁই। আগেও একদিন এরকম হয়েছিল। ভেবেছিলাম সেটাই বোধহয় শুরু। কিন্তু রাতের বেলা আবার সেই ঠান্ডা। এবার কিন্তু তা নয়। গত কয়েকটা দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে বৈ কমেনি। রাতের বেলা একটু কমে আসে, এই যা।
গরম বাড়ছে। সাথে সাথে কাজকর্মও কিছুটা স্লো হয়ে গেছে। চেয়ারে বসে বসে মাঝে মাঝে ঝিমুনির মতও আসে। আর কোথেকে যে এত উল্টা-পালটা চিন্তা-ভাবনা এসে মনটাকে ওলট-পালট করে দেয়- বুঝি না। তার চেয়ে রাতের বেলাটা একটু মজার। স্বপ্নগুলো এত আপন মনে হয় যে ঘুম ভাঙ্গলেই দিনটা শুরু হয় মন খারাপের ভাব নিয়ে। এভাবে সিরিয়াল বাই সিরিয়াল, একটার সাথে আরেকটার এত মিল কি করে যে হয়। ভেবে চিন্তেও কিন্তু এরকম মিলিয়ে মিলিয়ে কিছু ভাবতে পারি না। অনেক সময় ভাবার সাহসও হয় না। …জামিনের বাসিন্দা আমি/তুমি থাকো আসমানে…
বাংলা মিউজিক সেকসানে গুরুর গানগুলো খুঁজলাম, পেলাম না। …তেলে আর জলে বন্ধু মেশে নারে যেমন…। তখন বোধহয় ক্লাস নাইন বা টেনে। অডিও ক্যাসেটটা এক বন্ধু হাতে দিয়ে বলল এটাই নাকি আমার ‘জাতীয় সঙ্গীত’ হওয়া উচিত। পাত্তা পাই আর না পাই, একটু চোখের দেখাই অনেক বড় পাওয়া। ’যথেষ্ট’র সংজ্ঞাটাই অন্যরকম।
একটা মজার ব্যাপার লক্ষ করেছি- গানেরও ‘সিজন’ আছে। সব গান সব সময় মনে আসে না বা ভালো লাগে না। সেই যে গরমের সময়টা- স্কুল ফাঁকি, নদীর পাড়, হঠাত হঠাত কোরাস, কত গানই না মনে আসে। এই যে কাজে ফাঁকি, জানলা দিয়ে হঠাত হঠাত দক্ষিণা হাওয়ায় মনটা ভরে যাওয়া… আর… আর বুকটার মধ্যেও যে হু হু করে ওঠে…বুঝলেনা…
নাহ! ভাবনার সাথে লেখাটাও দেখছি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। বাদ দেই।