১৯৬০ সাল । ইসাঙর আফ্রিকান অঞ্চল বর্তমান উআণ্ডা ও কঙ্গোর সীমান্ত । জিন ডে হোণ্জেলিন ডে ব্রুকাট(৬ আগষ্ট ১৯২০-৪ নম্ভেম্বর ১৯৯৮ ) বেলজিয়ান ভৃতাত্ত্বিক, আবিস্কার করেন এ ধরনের হাড়, ইসাঙ্গ হাড় । এটি মুলত বেবুনের পায়ের ফিবুলা, গাড় বাদামি রংগের এর এক প্রান্তে ছিল খোদাই বা লেকার জন্য স্ফটিকমনি। ডে ব্রুকাট জানান এ হাড়টি ৬৫০০ থেকে ৯০০০ খ্রিষ্ঠপৃর্বাব্দের। পরে আন্য ভুতাত্ত্বিকরা প্রমান করেন এটি ১৮০০০-২০০০০ খিষ্ঠপৃর্বাব্দের- প্যালিওলিথিক যুগের শেষের দিকের ।
ইসাঙ্গ হাড়ে সুসজ্জিতভাবে অপ্রতিসম আচড়েঁর তিনটি সারি ছিল । মধ্য সারিতে প্রথমে ৩টি এর পর ৬টি এভাবে ৪টি ও পরে ৮টি এবং এর পর ১০টি পরে ৫টি আচড় দেখা যায় । এখানে প্রথমে গুণের (৩.৬.৪.৮) ও পরে ভাগের (১০,৫) গনিত লক্ষ্ণনীয় । তাই বলা যায় ইসাঙ্গ হাড়টি ছিল অতিসাধারন গননার চর্চার এক নির্দশন। গননার নিদর্শন এর চেয়েও বেশী লক্ষ্য করা যায় বাম ও ডন সারিতে আঁচড়ের সংখ্যায় ।উভয় সারিতে দেখা মেলে শুধু বিজোড় সংখ্যার ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৯, ২১ । একক ভাবে বাম সারিতে রয়েছে ১০ থেকে ২০- এর মধ্যবর্তী মৌলিক সংখ্যাগুলো ১১, ১৩, ১৭, ১৯ । এর ডান সারির সংখ্যাগুলো ১০/২০ থেকে ১ কম/বেশী : ১১(১০+১), ২১(২০+১), ১৯(২০-১)ও ৯(১০-১) বাম ও ডান সারিতে পৃথকভাবে ৬০টি করে আঁচড় ছিল এর মধ্য সারিতে ছিল ৪৮টি । ৬০ ও ৪৮ উভয়ই ১২র গুণিতক, যা আমাদের গুন বা ভাগের ধারনা দেয় ।
আলেকজান্ডার মারসাক(৮ এপ্রিল ১৯১৮ – ২০ ডিসেম্বর ২০০৪ ) আমেরিকান প্যালিওলিথিক প্রত্নতত্ববিদ বলেন এটি ছয় চন্দ্রমাসের দিন পজ্ঞিকা । ইসাঙ্গো হাড়ের মতোই সোয়াজিল্যাণ্ডে ৩৭০০০ খ্রিষ্ঠপৃর্বাব্দের বেবুনের হাড় পাওয়া গেছে ।
কে, নারী, এই না পুরুশ এই চন্দ্রপজ্ঞিকাকে খোদাই করে রেখেছে – এটি একটি গুরুত্বপৃর্ণ প্রশ্ন । প্রতি ২৮ দিন পর পর নারীদের রজঃস্রাব হয়, তারাই তবে এই খোদাই কাজ করেছে ।ক্লডিয়া জাসলাস্কি(১২ জানুয়ারি ১৯১৭-১৩ জানুয়ারি ২০০৬ )
আমেরিকার অন্যতম এথনো-ম্যাথেটিসিযান বলেন, নারীরা যথাসম্ভভ তাদের রজঃস্রাবের সঙ্গে মিলিয়ে চন্দ্রদশাকে এভাবে আঁচড়ের মাধ্যমে বেবুনের ফিবুলায় খোদাই করে রেখেছে ।
কৃষিকাজে সময় বা ঋতু নির্ধারন গুরুত্বপৃর্ন বিষয় ফলে কৃষকের দ্বারাই এ ধরনের পজ্ঞিকা খোদাই সম্পন্ন হয়েছে বরে অনেক বিজ্ঞানি দাবি করেন । তাহলে কি খোদাইকারি হল পুলুষ, না তা নয় প্যালিলিওলিথিক যুগে পুরুষেরা খাদ্য সংগ্রহের জন্য ।ধিকাংশ সময়ই বনে জঙ্গলে কাটাত আর নারিরা করত কৃষিকাজ। ফলে এ খোদাই নারিদেরই কাজ ।প্রকৃতির পর্যাবৃত্তসময়কে গননা করার ক্ষেত্রে নারিরাই প্রথম তাই নারিরাই হল প্রথম গননাবিদ বা গনিতবিদ ।
সুত্র – সমকাল ।