জ্যোতিষ বিদ্যায় কে কতটা বিশ্বাসী বা মজা পান- জানিনা। তবে আমি খুব মজা পাই। আর এ মজার ব্যাপারটায় আমাকে যিনি মজা পাইয়ে দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী।
সেই কবে থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ডের গান শোনা শুরু। প্রথমে তো মিউজিক আর চিত্কারের মাঝে আসল কথাগুলো খুঁজেই পেতাম না। পরে অনেক ব্যান্ড তাদের এলবামে গানের কথা বা লিরিক দেয়া শুরু করলে গান শোনার সময় মিলিয়ে নিতাম। ওখান থেকেই পেয়ে যাই ‘কাওসার আহমেদ চৌধুরী’ নামটি। আমার অনেক ভালো লাগা গানের কথাগুলো লিখেছেন তিনি। সেই থেকে তার যেকোন ধরনের লেখা পেলেই পড়তে চাইতাম। কিন্তু সমস্যা হলো- কোন লেখাই খুব বড় না, আর কোথায় কখন যে লেখেন তারও কোন ঠিক নেই।
দৈনিক প্রথম আলোর ছুটির দিনে’র ‘কেমন যাবে এ সপ্তাহ’টি ধারাবাহিক ভাবে যখন লিখতে শুরু করলেন তখন আর পালাবে কোথায়! ব্যস্ হয়ে গেল। লেখাগুলো পড়তে পড়তেই নিজের রাশি সাথে মিলিয়ে নেয়া। মজা বাড়লো বৈ কমলো না। তার অদ্ভুত গল্প বলার মত করে রাশিফল লেখা বা লেখার মাঝে মাঝে সাদামাটা/ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা তুলে এনে তাতে কিছু উপদেশ/সতর্কবাণী জুড়ে দেয়া, কাউকে নিরাশ না করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করা- অসাধারণ।
দৈনিক প্রথম আলোর ‘আলপিন’টাই আগে বেশী আকর্ষণ করতো। আস্তে আস্তে ‘ছুটির দিনে’র দিকে ঝুকে গেলাম। এখন ‘কেমন যাবে এ সপ্তাহ’ যদি কোন সপ্তাহে না বের হয় বা না পড়া হয় তাহলে সপ্তাহের শুরুতে কেমন যেন একটু অস্বস্তি লাগে। এ সপ্তাহের জন্য আমাকে বলা হয়েছে- ‘নতুন কারো সঙ্গে পরিচয় হতে পারে। এ পরিচয় অর্থবহও হতে পারে।’ মনের মধ্যে কেমন যেন একটা ভাব চলে এসেছে। আমি মনে করি ‘তার’ সাথে আমার পরিচয় জন্মজন্মান্তরের। তবুও আক্ষরিক অর্থের পরিচয়টি তার সাথে এখনো হয়ে ওঠেনি। সময় চলে যায়নি। আবার সময় যে হয়ে গেছে নিজে থেকে তাও বুঝতে পারছি না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে- পরিচয় হোক…এবং সেটা অর্থবহই হোক।