নতুন বছর। পুরনো বছরের অনেক অসমাপ্ত কাজের উপর চেয়ে বসলো নতুন বছরের ধাক্কা। স্বাভাবিক ভাবেই বাস্তবতার মুখোমুখি। বন্ধুর সাথে যোগাযোগ কমে গেল। কিন্তু যেখানে সেল ফোনে তার নাম্বারটা ডায়াল করতে মাত্র দুইটা বাটন চাপা লাগে বা কর্মব্যস্ততার মাঝেও ইমেইল-মেসেঞ্জারের এই ছোট্ট দুনিয়াটায় খোঁজ-খবর না নেয়াটা এক ধরনের অপরাধ বলেই মনে হয়। এ অপরাধ বোধটা মাঝে মাঝেই নিজেকে তাড়া করছিল। কিন্তু ব্যস্ততার জন্যই হোক বা আলসেমির জন্যই হোক যোগাযোগটা ঠিক করা হচ্ছিল না। আবার সেও যে যোগাযোগ করছে না- এটাও এর মধ্যে মনে পড়েনি। হয়তো নিজের অপরাধবোধটা অন্য অনুভূতিকে নষ্ট করে দিয়েছিল।
কয়েকদিন আগে বন্ধু মেইল করেছে। না জানি কত না অভিযোগের ফিরিস্তি করে পাঠিয়েছে। একটু ভয় ভয় করছে। তবুও আকারে অনেক বড় মেইলটা পড়ে শেষ করলাম।
বন্ধু লিখেছে, “…দেশ থেকে আসার পর অনেকদিনতো বসে ছিলাম। এবার একটা কাজ পেয়েছি। আহামারী ধরনের না হলেও নতুন জায়গা, নতুন ভাষা, নতুন কাজ…বুঝতেই পারছিস এ নিয়ে কিছুটা টেনশন আর ব্যস্ত ছিলাম তাই একয়দিন ঠিকমত মেইল করতে পারিনি। আর কাজ শেষে বাসায় এসে কম্পিউটার অন করে মেসেঞ্জারে বসার ধৈয্যও থাকেনা। কিছু মনে করিস না…।”