এই বন্ধুটি থেকে আমার সময়ের ব্যবধান ১ ঘন্টা, বাই এয়ার ৪-৫ ঘন্টা। দেশের খবরে খুব আগ্রহ। প্রতিদিন খুব মনোযোগ দিয়ে দেশের অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়ে। দুদিন আগে মেসেঞ্জারে একটা অফলাইন মেসেজ দিয়েছে- সে পদত্যাগ করেছে! এবং আরো কিছু মেসেজ যা তার তাত্ক্ষণিক মুহুর্তের আনন্দ উচ্ছ্বাস -এসবের সবই বহন করে। এও মন্তব্য করতে ভোলেনি যে দেশে এবার একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে আর সেটা এলেই সে অনেকদিন পর দেশে বেড়াতে যাবে।
আমি তো মাথা-মুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পরে তাকে কল করলাম। ওহ এই কথা! বাংলাদেশে কেউ কি কখনো স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নাকি তাকে ঠেলে নামানো হয়েছে। এই নিয়ে তার সাথে আবার বিশাল তর্ক। দেখলাম মাসের শেষ দিকে সেল ফোনে মিনিট বেশি নেই। তর্ক বন্ধ করে বললাম যে বাংলাদেশে কেউ যদি স্বেচ্ছায় দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করে তবে দেশের আক্কেল বাড়তে শুরু করেছে। আর যদি বাড়তে শুরু নাও করে তবে এই ‘পদত্যাগ’ দিয়েই শুরু হোক। ভালো হোক সবার।