আমার গান
ঈষাণ কোণে মেঘ জমেছে,আজ তুফান হবে দেখো!
ছুটছে কেমনে পাগলা হাওয়া,হাওয়ার গতি শিখে রেখো।
অনেক দূরে যেতে হবে,তবু ভ্য় পেয়না তুমি।
ঝরকে পায়ের তলে পিষে,নবীন কাঁপাও এ রণভূমি।
– বিষাক্ত কাটায় ভরা,আধারে ঢাকা যে পথ,
– সে পথটা দিবে পাড়ি,নিয়ে ভাঙ্গা চাকার রথ।
বজ্ররের আলো কেড়ে নিয়ে,জমিয়ে রাখো চোখে।
পথটা তোমার আঁধারই থাকুক,আলো জ্বালাও শুধু বুকে।
চোখটা রাগে রাঙ্গাও যদি,তাতে যেন আগুন জ্বলে।
চোখের আগুন দেখে যেন,অগ্নিগিরি কেঁদে চলে !
– “শান্ত হয়ে বিড়াল সাজবে”,এতো দানবেরই কথা,
– চন্দ্র-সূর্যকে দাও উপদেশ,ভুলে ভয়ের আদি প্রথা।
ঘোমের ঘোরে আছে যেই জন,তার চোখেতেই স্বপ্ন মানা্য়।
অলশ দেহে তাবু গেড়ে,ডাইনি রূপকথারি গল্প শোনায়।
মরণের পরে ঘুমাবে তুমি,আজি কেটে দাও তোমার চোখের পাতা।
ওচোখে যেন পলক পড়েনা,বেঁধে দাও মণিতে লোহার সুতা।
– যুগের আলো বিহীন,নীরব,নীস্তব্ধ শষাণ মাঝে,
– আমি যেন শুনি সেতা্য়,সুখের সানাই বাজে।
গাঢ় আঁধারের প্রাচীরে ঢাকা রাতের আকাশ যেন।
সে আকাশ ফাটিয়ে আজকে তুমি,আলো চিনিয়ে আনো।
হবেকি মৃত্যুর ভয়ে কুন্ঠিত ? জানতো বিরেরা কভু মরেনা !
গলা কেটে যদি তারে দ্বিখন্ডিত কর,লাশ তবু তার পড়েনা !
– পায়ের নখ দিয়ে মাটিকে আঁকড়ে ধরো,বাঘের মত থাবায়,
– নবীণ তখনি তোমাকে সাজিয়ে দেব লাল রক্ত জবায়।
আগামীর দিন গুলোতে আরও আঁধার হবে,ঝর হবে ভয়ানক।
সে দিন এ গান শুনে,নবীণ নীর্ভয়ে চাইবে কি অপলক ?
যেদিন ঝরকে তুমি পেছনে ফেলবে,মুছবে কুসংস্কার,
সেদিন তোমার ভয়ে পাগলা ঝরও করবে,তোমায় নমস্কার।
– বন্ধু,তোমার জন্যই আমার এ গান আর আছে যত ফুল।
– তুমি যে মুছে দেবে এপৃথিবি থেকে দুর্বলতার মূল।
২২;১৮
১৯;১১;০৯ ইং