গদাই গড়গড়ি লোকটা একটা enigma.
অবিশ্যি শ্যাজাবুবুর মতো তাকে যারা চাক্ষুষ দেখেছে, তারা বলবে, ছেলেটা!
খাঁটি metrosexualদের মতো মুলতানি-মিট্টিtreated চিকন ত্বক, Monte Carloর tee আর Leeর Photon পড়ে স্যায়র করতে বেরোলে, teenageএর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা sophomore বলে ভুল হয়। Slim sharp চেহারা, average হিন্দুস্তানী পুরুষের চে’ বেশ অনেকটাই লম্বা, আর গড়পড়তা উত্তর ভারতীয়দের থেকেও যথেষ্ঠ ফর্সা – দৃঢ় chin-bone দেখলে বোঝা যায় পূর্বপুরুষদের কেউ একজন Aryan ছিলেন। সাড়ে 7 secondএর মাথায় যে কোনো অচেনা লোকের সাথে আলাপ জমিয়ে ফেলতে পারে, কথায় কথায় মুখে হিন্দী আর Englishএর তুবড়ি ছোটায়, যার জন্যে প্রথম আলাপে তাকে প্রায় সবাই NRI ভেবে বসে।
সামান্য myopic, workstationএর সামনে থাকলে Zeiss পড়ে, shinin’ precious stones ভীষণ প্রিয় – গ্যালো বোশেক থেকে শখ করে 2 হাজার dollarএর একটা diamond ring পরা শুরু করেছে। গত কয়েক বছর হলো পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে, hostelজীবনে রোজ সকালে একটা করে Wills Classic Menthol খেতো, পছন্দ করে না বলে জিন্দেগীতে কোনো দিন counter টানেনি – শুধুমাত্র প্রভুদের পয়সায় তরল পদার্থ খায় আর তাও on the rocks. Cokeএর formula পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখালেও তাকে দিয়ে কোনো দিন অন্যের মুখাগ্নি করানো যাবে না, আর যতো দিন নিজের মুখে দিয়েছে, সে কাজে Zippo ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করেনি – rimless frameটা পছন্দ করতে সর্বসাকুল্যে তার যতো second সময় লেগেছিল, সংখ্যাটা 80র দশকে তুমুল জনপ্রিয় এক punk bandএর কথা মনে পড়িয়ে দেয়, আর সেই সাথে চোখের সামনে ভেসে ওঠে Nevada museumএর ছবি।
হপ্তায় না হোক, মাসে অন্তত:পক্ষে এক বার 10 থেকে 15 kilometer হাঁটে, last Kolkata marathonএ finishing line অব্ধি complete করেছিল। Hello tunesএ মল্লার বা ধ্রুপদী রাগ ছাড়া অন্য কিছু set করে না আর হাল্কা শীতে সরু পাড়ের সাদা শাল ছাড়া গায়ে দেয় না, হাত দুটো পেছনে শক্ত করে মুঠি করা থাকে যখন হাঁটতে বেরোয়, শোলের ঠাকুরের মতো শালের আঁচলটা দুদিকেই লোটায় – আর গলায় থাকে সোনার chain. সেই হার যা সে jacuzziতে নামার সময়ও খোলে না, ময়মনসিঙের জমিদারি ফেলে partitionএর সময় সামান্য যা কিছু তার মাতামহ এপারে নিয়ে এসেছিলেন।
এর’ম একটা লোকের, থুড়ি, ছেলের – অয়স্কান্ত কি ময়ূখ জাতীয় নামটামই public আশা করে। কিন্তু এটা যেহেতু গদাই গড়গড়ির autobio, শ্রীল শ্রীযুক্ত গদাই গড়গড়ি ঠিক করেছেন, অর্থাত গদাই গড়গড়িকে শিখন্ডী করে যে মহাপুরুষটি পেছনে ছুপাছুপি খেলছেন – তিনি অনেক ভেবেচিন্তে affidavitএর ঝামেলায় গেলেন না।
কারণ কথায় কথায় এর পরে তিনি যদি বলে বসেন, শিশুকালে আমি এক সহপাঠিনীকে kiss করেছিলাম, পরিচিত স্বজনবান্ধবেরা বিন্দুমাত্র দেরী না করে হাঁ হাঁ করে উঠবে – কামিনে! একাকী অসহায় নাবালিকাকে পাইয়া তুই dash dash dash?!!
কিন্তু গদাই গড়গড়ির ছেলেবেলার ব্যর্থ চুম্বনচেষ্টাকে লোকেরা ক্ষমাসহিষ্ষু চোখেই দেখবে, গদাই যদি আরো 2টা বেশি pass দিয়ে পন্ডিত হতো, তা’লে এতো ঝামেলিতে না গিয়ে এক কথায় বুঝিয়ে দিতো – association ‘n’ disassociation.
তাছাড়া চরিত্রের নাম অয়স্কান্ত রাখলে পরকীয়া বা সুভদ্রাহরণ দুটোর কোনোটাই করতে সুবিদে হয় না – মানে অয়স্কান্তের। তো সে, বা গদাই গড়গড়ি, আজকাল অনেক কিছু শিখছে-টিখছে – তার মদ্যি একটা হলো martial art.
অইটে যের’ম দুর’ম হয়, soft আর hard, খিক খিক – পানীয়র কথা ভাবলেই আমার না খুউব জোর হাসি পায়! আপনারা কি জন্যে হাসলেন? যা বলছিলুম – martial artএর ভিত্রেও কোমল আর কঠিন আছে। গদাই শিখছে প্রথমটা, আর প্রথম দিন গিয়েই instructorএর, সরু নখের আঁচরের মতো এক চিলতি সিঁদুর তার চোখ এড়ায়নি।
সীমন্তসীমা নিয়ে এতো সাতকাহনের একটাই কারণ – গদাইয়ের এই styleটা হেব্বি দুষ্টু-দুষ্টু লাগে। তবে অই অব্ধিই – এর পরে স্বয়ং ইমরান হাশমিকে Kingfisherএ করে উড়িয়ে আনলেও plot এই দিকে আর এক পাও এগোবে না।
সুভদ্রেলোপের প্রসঙ্গে আসা যাক। classএ একটা মোটে দাদু, চাট্টে ছেলে, দুইটা কন্যা – ফুলকো চোখের একটি আসলেই Sleeping Beauty ইদিকে আরেকটিকে দেখলে রজনীর কথা মনে পড়ে। ব্যাঁকা চাটুজ্যের রজনী নয়, প্রিয়া রজনী তেন্ডুলকর, দূরদর্শী পর্দার সেই প্রতিবাদী গৃহিণী – সেই আমলে গদাইদের পাড়ায় অনেকেই booster লাগিয়ে ঢাকার program দেখতো।
Boosterএর কথায় মনে পড়লো – বাবুদের বাড়িতেও ওটা ছিল। মানে তার classmate, যার ভালো নামটা গদাই স্বেচ্ছাকৃত amnesiaয় এই মুহূর্তে ভুলতে বসেছে ও already ভুলে গেছে, সেই সময় মনোজদের অদ্ভূত বাড়িফাড়ি লিখে বাবুর বাবা একটু একটু জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন – গদাইয়ের বাবার সাথে শীর্ষেন্দুর আলাপ অবশ্য বুদ্ধদেবের thruতে।
গদাইদের অবস্থা তখন আজকের মতো একেবারেই রমরমা ছিল না – তিনতলা বাড়িটার ওপরের দুটো তলা ওঠেনি তখনো। সাদাকালো খ্যাঁদা বাক্সে মাঝে মাঝে ঝিরিঝিরি করে ওপার বাঙলার feed আসতো – যা দেখে চন্দ্রবিন্দুর উপল ঝিলমিল গানটা লিখেছিলো পরে।
এই বাড়িটার আবার একটা মজা আছে। Heritage house বলা যেতে পারে। গদাইয়ের বাবা বহোত hifi আদমি ছিলেন, পেশায় high profile central govt scientist হলে কি হবে, নেশা মানুষটাকে ঘোষবাবু-সেনবাবুদের আড্ডায় টেনে নিয়ে গেছে বারে বারে যখন বেঁচে ছিলেন – মানে গৌতম আর মৃণাল। German classics বাঙলায় অনুবাদ করেছেন, অর্থনীতি নিয়ে Statesmanএ একগাদা article লিখেছেন, পরে গুছিয়ে বাঙলায় বই করে বের করেছেন – আবার art-western classicals-Terra cotta নিয়েও বিস্তর পড়াশুনো করেছেন research করতে আসা সায়েবসুবোদের সাথে।
Heritage houseএর কথা বলছিলুম না? বুদ্ধদেব যখন ছবি বানানো সবে শিখছেন, তখন এই বাড়িতে যাতায়াত লেগেই থাকতো, প্রথম 2টো docuএর 90% কাজ গদাইয়ের বাবার করা – যার মধ্যে একটার গাছকাটাসহ বেশ কিছু partএর dubbing অই উঠোনেই হয়েছিল। গদাই সেটায় অভিনয়ও করেছিল, পরেরটায় করেনি, বাবার মনে হয়েছিল ছেলের চোখেমুখে শহুরে ছাপ সুস্পষ্ট – তাকে দিয়ে গ্রাম্য বালকের role একেবারেই হবে না।
প্রায় কারোরই কথা গদাইয়ের সের’ম মনে নেই, তবে Grassকে না ভোলার কারণ হলো, ভদ্দরলোক airportএ নেমেই সোজা কালীঘাটে ছুটলেন – প্যাঁড়া খেয়ে এতোই অভিভূত যে বাবাকে বার বার গ্র্যাসেয়্যা বলেও তৃপ্তি হচ্ছিল না। শেষমেষ ছেলের জন্যে নিজের সঙ্গে করে নিয়ে আসা German cameraটাই উপহার দিয়ে বসলেন। আর বাবার জন্যে Flounder.
গদাই চিরকালই ইংরিজিতে লেখে – লিখবেও। যার কাছে যেটা সহজ। তবে একটা কঠিন কাজ করে best friendকে খুশি করার মধ্যে যে একটা আলাদা আনন্দ আছে, তার থেকে সে বঞ্চিত হতে চায় না।
অনেক বার লিখবো লিখবো করেও হাত সরিয়ে নিয়েছে সে। ইহজন্মে গদাই নীরোদ সি কি মণি ভৌমিক হবে না। আত্মজীবনী লিখলে পয়সা খরচ করে কিনবে কোন ইয়ে?
তবে এখন যেহেতু গদাই martial art শিখছে, এবার সে আরামসে জিগরি দোস্ত কাউয়া শিককে threat দিতে পারবে, ছাপানোর সব খরচ তোর – না হলে সাকুরার সব খালি বাটলি তোর ভেজায় ভাঙবো হল্লাশানই!
কাউয়া শিকের রমনা কালীর কৃপায় অনেক মালকড়ি হয়েছে ইদানিং। ব্যাটা করে কি, নতুন লোক দেখলেই ভাব জমিয়ে সাকুরায় নিয়ে যায়, তার পরে টুক করে তার মালের গেলাসে কড়া ঘুমের ওষুদ ফেলে দিয়ে snorin’ শ্রীচৈতন্য করে সওব মাল্লু ঝেঁপে পগাড় পার – ওর প্রথম শিকার ছিল শরত বলে সদ্য গোঁফ-ওঠা bunk-কত্তে-বেরোনো এক বালক।
তবে কাউয়া শিকের একটা গুণ হলো, ওর victim শুধু ছেলেরা, না’লে date rape বলে ঘ্যানোর ঘ্যানোর করে আরো কয়েক পাতা এগোনো যেত -Shakespeareকে নিয়ে researcherরা আজকাল যেসব কথা লিখছে, যে ভদ্রলোক সম না বিষম কি সব যেন ছিলেন-টিলেন, সেসব কথা অবশ্য কাউয়া শিককে নিয়ে ভাবার কোনো কারণ নেই।
সে যাই হোক, ভাবছেন, গদাই ইনশাল্লাহ বলবে না কেন?
কারণ ঠিক এক যুগ পরে গদাই একটা বাঙলা বই কিনেছে, চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক, আর সেইটে পড়ে মজিদমার্কা mannerism তার মধ্যেও ঢুকে পড়েছে একটু একটু।