আমার কবিতা কেমন? প্রত্যেক কবিরই নিজের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর, ”আমার সবগুলো কবিতা এমনই যে আমি খুশি এগুলো আমার লেখা।” পৃথিবীর ব্যস্ততম সড়কেও যে মাথায় এই উত্তর ভেসে যায় সে মুখে ফুটে ওঠা হাসি ছড়িয়ে যায় ভিড়ের বৃত্ত আর এতক্ষণ যে প্রক্রিয়ার কথা বললাম তার নাম প্রশান্তি
এমন চিন্তার আঁচড়ে কবি কিন্তু দূষিত হয় না
প্রমাণের জন্য পেছনে ফেলে আসা রূপকথা যেমন গেরিলার হাত ধরে হয় কুসংস্কার – কবিতার কাছে বিশ্বাস আর ভালবাসা তেমন সম্পর্কিত নয়
বায়রন আমার কথার প্রতিবাদ করে বলে, ‘ But I hate things all fiction…there should be always some foundation of fact for the most airy fabric- and pure invention is but the talent of a liar.’ – April 2, 1817
তারও কিন্তু ইচ্ছা ছিল শুধু লেখক পরিচয়ে পরিচিত না হবার – সত্য/মিথ্যার প্রশ্ন এড়িয়ে তাই নিজের সাক্ষাতকার নেয়া দূষণ না
কবিতার প্রতিত্তুরে ভাবলেশশূন্য মুখ হয়তো চোখে পড়ে না কারো – তারপরও হলপ করে বলি কবিতার সামনে দাড়ানো সবগুলো মুখই অভিব্যক্তিহীন- মানুষের চেতনার মহাবিশ্বে ব্যক্তিগততম জায়গা এটা
#
কবিতার শিরোনাম জিনিসটা অদ্ভুদ, কখনো ঝট করে আবার কখনো আরোপ করা লাগে – আরো অদ্ভুদ কোন কোন একক পংক্তি, পথের মাঝখান থেকে পাওয়া আর না পাওয়ার বেলায় চুরি করা সেই লাইন লিখে রাখতে না পারলেও অন্তত মনে রাখতে কত চেষ্টা, আর তারচেয়েও জোর চেষ্টা পরে সেটা কোথাও ফিট করতে – ইদুর আর ম্যাগপাই পাখির মতো খাওয়া প্রথমে খোসা তারপরে বাদাম
অবশ্য অন্যান্য উপায়ও আছে – বহুবচনের পথে হারানো সিদ্ধান্তের মতো, কখনো কখনো
আর সবসময়ের মতো তখনও কিন্তু চোখগুলো থাকে পথের অক্ষরে যদিও কবিতায় শব্দের চেয়ে ক্ষুদ্রতম কোন একক হয় না