সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তখন স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়ীত্বে,বাবর প্রতিমন্ত্রী।২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা হলো,আইভি রহমান সহ ঝরেগেল অনেক তাজা প্রাণ।প্রাধান টার্গেট বিরুধি দলীয় প্রধান হাসিনা।ভাগ্যক্রমে বেচে গেলেন।
ঘন্টা খানেকের মাঝে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে প্রেস নোটে বলা হল এটা আওয়ামিলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের ফল!!সংসদে এটা নিয়ে আলোচনা করতে প্রথমে বাধা,তার পর শুরু হলেও সরকার পক্ষের সকল মন্ত্রী এমপি ২১ অগাস্ট নিয়ে হাসি তামাশা করতে লাগ্লেন।এত গুলো গ্রেনেড মারা হলো,একটাও হাসিনার উপর পরলোনা বলে উপহাস হলো!!সংসদ নেত্রী খালেদা জিয়া মুহু মুহু করতালি দিয়ে উতসাহ দিলেন!!!
প্রথমে আওয়ামীলীগ কেই দায়ী,তার পর দেশী বিদেশি চাপে তা বাদ দিলেন।সাজালেন জজ মিয়া নামক এক নিরিহ মানুষকে নিয়ে নাটক!!মাঝে ভারতীয় ষড়যন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি…
1/11 এর পট পরিবর্তন।একে একে বদলালো সব!!বের হতে লাগলো সব কাহিনি।জজ মিয়ার নাটকের নিষ্ফল সমাপ্তি!২১ অগাস্ট মামলায় মুল পরিকল্পনা কারি হিসাবে গ্রেফাতার হলো বি এন পি র মন্ত্রী!!
খালেদা স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়ীত্বে ছিলেন,আর উনার মন্ত্রী পরিষদের একজন খালেদার প্রধান প্রতিদ্বন্দি হাসিনাকে হত্যার জন্য হামলা করল,জোট সরকার সেই হত্যা মামলা ভুল পথে থেলে দিলো বার বার।হিসাব টা কি মিলে?
সাধারন হিসাব।
৭৫ এর খুনিদের জিয়া আইন করে বাচালেন(মুস্তাক যা করে ছিল তা আইন হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়নি,জিয়া ক্ষমতায় এসে তা সংবিধানের অংশ করেন)।৯১-৯৬ আমলে এই আইন বাতিলের জন্য প্রস্তাব করে বিরুধি দল,কিন্তু বি এন পির জন্য তা বাতিল হয়ে যায়।৯৬ এ লীগ বিচারের ব্যাবস্থা করলে,২০০১ থেকে আবার বি এন পি তা নিষ্কৃয় করে রাখে।
এই হলো পর্দার পেছনের কাহিনী।
এখন হাসিনা খালেদা বৈঠকের কথা হচ্ছে।
দেশের সার্থে হাসিনা যদিও রাজি হয় এতে,আওয়ামীলীগের সকল নেতার এতে বাধা দেয়া উচিত।
ব্যারেস্টার রফিক কে বলা উচিত,আপনি খালেদা কে জিজ্ঞাস করুন উনি লজ্জিত কিনা উপরের ঘটনা গুলির জন্য।যদি খালেদা উপরের ব্যাপার গুলিতে আগের অবস্থা ধরে রাখে,হাসিনার কোন ভাবেই এই বৈঠকে বসা উচিত হবে না।এটা ২১ অগাস্ট যারা মারা গেছে তাদের প্রতি অবিচার হবে।
আর আগের অবস্থানে খালেদা থাকলে বৈঠকে যোগ দিয়ে আওয়ামীলীগ আরেকটা রাজনৈতিক ভূল করবে।
ভুল হাসিনারো আছে,কিন্তু উপরের বেপার গুলি এত মুখ্য,যে এগুলির নিষ্পত্তি না হলে সেই সব নিয়া কথা বলার কোন মুল্য থাকবে না।