বিংশ শতাব্দিতে ভারতে বিভিন্ন সাম্পদায়িক দাঙ্গায় বহু মানুষ মারা যেত,কিন্তু ঘটনা স্থল থেকে লাশ সরানোরও কোন লোক থাকতনা।ফলে বহু লাশ এখানে ওখানে বেওয়ারিশ পরে থাকত,কিছু লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হত।ঠিক সেই সময় কিছু ধর্ম প্রান মানুষ এগিয়ে আসেন,নিজ উদ্যোগে তারা বেওয়ারিশ লাশ দাফন করতেন।এভাবেই তারা গড়ে তুলেন একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ১৯০৫ সালে।নাম দেয়া হয় “আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম “,কারো নামে নয় !!!এটি আরবি তিনটি শব্দ,যার অর্থ ইসলামী জনকল্যানমুলক সংস্থা।আমি নিজেও এক সময় ভাবতাম এটি কোন ব্যাক্তির নামে নামকরনকৃত।
এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় কলকাতায়,যার নেতৃত্বে ছিলেন শেঠ ইব্রাহিম মুহাম্মদ ডুপ্লে।১৯৪৭ এর পর এর প্রধান কার্য্যালয় ঢাকায় (পুরান ঢাকার ৫ কে এম দাশ রোড) স্থানান্তর করা হয়।
শত বছরেরো বেশি সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠান টি বেওয়ারিশ লাশের শেষ কৃত্য করে মানবতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন স্থাপন করে যাচ্ছে।এটি অসহায় দরিদ্র পরিবারের লাশও দাফন করে।শোব চেয়ে গুরুত্ব পুর্ন হলো,এটি আজো জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।তাছাড়া নানামুখি সামাজিক যেমন ফ্রি চিকিতসা সেবা,বস্ত্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করে।
১৯৯৬ সালে এই প্রতিষ্ঠান টিকে স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত করা হয়,এ ছাড়াও দেশে বিদেশে অনেক পুরষ্কারে ভুষিত হয়েছে।
তবে সব চেয়ে বড় যে পুরষ্কার এই প্রতিষ্ঠান টি পেয়েছে,পাচ্ছে,পাবে তা হলো কোটি মানুষের ভালোবাসা,শ্রদ্ধা।
যে মহান ব্যক্তিদের হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়েছে তাদের জানাই আমার স্বশ্রদ্ধ সালাম।