একবারও বেজে ওঠলোনা
সকাল থেকে অবিশ্রান্ত সময়ের ঘাম ঝরে
প্রতীক্ষার সিঁড়ি বেয়ে কেবলই ওঠা-নামা
ওঠা-নামা
চিরুণি চালিয়ে চুলে থম্কে তাকানো ফের –
টেলিফোনের দিকে
কি এমন কাজ তার আজ ?
ভুলেই গেলো? অথচ
কতটা উন্মূখ হয়ে বসে –
যদি জানতে!
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যে তখন প্রায়, ক্রিং . . .
কার ফোন? দূরাভাষের ওপাড়ে কে?
সে কি?
দৌড়ে ছুটে রিসিভার তুলে ,
‘হ্যাঁলো – তুমি?
না? তবে কে?
আহ্ -কে আপনি ? কাকে চাই?
দূর ছাই! রাখি ,
খুব ব্যস্ত আছি।’
ঘটাং!
ক্রিং . . .
আলাপনের মাধ্যমটির কাছে আসা আবার
বুক ঢিপ্-ঢিপ্ , হাত নিস্-পিস্ ; ছুঁতে চেয়ে
না থাক, অন্য কেউ হয় যদি? ক্রিং . . .
আমার মাথার দিব্যি লাগে, এবার যেন হও তুমি-ই!
ক্রিং . . .
তুমি যদি না হও তবে, জেনো –
আমার মরন হবে, ‘হ্যাঁলো,
আহ্! – তুমি? কেমন ছিলে? কেমন আছ?’