চাট করতে অবশ্য ভালোই লাগে তবে ইদানিং সময় বা সুযোগ খুব খুবই কম। এই দেখুন না ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এখানে নিয়মিত আসতে পারি না।
চুল পেকে যাচ্ছে যে! সেই বয়স কি আর আছে! মাঝে মাঝে পরপারের কথাও ভাবছি যে। ওদিকে আবার পূর্ণ্যের ভাণ্ডার শূণ্য। ওপারে যাই কি নিয়ে। আবার এপারে পকেট খালি। খালি পেটে বোরিং জীবন তরীই বা কয়দিন বাওয়া যায়।
গান জানলে- বিশেষ করে বাউল গান- অনেক দিন আগেই পথে বেরিয়ে যেতাম। গান জানা পথের মানুষ কেউ কি আমায় সঙ্গে নিবে? তবে আগে থেকেই সতর্ক করে দেই- আমি মানুষটাও কিন্তু মাঝে মাঝে খুবই বোরিং; আমার অনবরত আকাশ বা দূর-দিগন্ত পানে অপলক তাকিয়ে থাকা দেখে অনেকেই বিরক্ত হন।
কলেজ জীবনে গিয়ে এক নতুন অজানা-অচেনা পরিবেশের সাথে পরিচয়। আস্তে আস্তে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর্ব শুরু হলো। আসে পাশে বিচিত্র সব বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী। একদিন কানে ভেসে এলো- একজন কবিতা আবৃত্তির ঢঙে বলছে: প্রয়োজন কি এই প্রয়োজনহীনের প্রয়োজনমুখর এই পৃথিবীর প্রয়োজনীয় প্রয়োজনে। লাইনটা আজকাল প্রায়ই কানে বাজছে।