একুশে ফেবরুয়ারিকে ভুলতে চাই আমি আটই ফাল্গুনের জয়ধ্বনি করে,
বাঙ্গালী আমি বাংলাকে চিনতে চাই বাংলাতে চিন্তা করে।
পল্লি গায়ের ছেলে আমি জানি আমার ঠাঁই নেই ব্যস্ত শহর নগরে,
গ্রামের কুটিরে বিরাজ করি, মন আমার সাঁতার কাটে নদী জল পুকুরে।
চাষার ছেলে আমি বাংলার বারমাসে আমার পরিচিতি চিরতরে
ধান কেটে মাড়াই শেষ হলে, জাল ঝকড়া হাতে
আষাঢ়ের নতুন জলে মাছ ধরতে যাই বিল হাওরে,
নতুন চা‘লের পিঠা খেয়ে কাজ নেই তাই বসি যেয়ে কবি গানের আসরে।
দামড়া বেঁধে গোচালায় কদম্ব ডালে বসে বাজায় বাঁশি রাখাল সাঁজেরাধারে,
বারমাসের দুফসলায় জীবন বাঁচে কেমনে?
তবুও বাংলার চাষা মূর্শিদি গায় লাঙ্গল ধরে।
ভাদ্রের রুদে খড় শুকায় পোড়ে, মাঘের শিতে ঠাণ্ডা কাঁপন জাগায় হাড়ে
কেয়াবনে টুন টুনি বাসা বাঁধে আশে, কালো মেঘ দেখে আকাশে ফিঙে উড়ে,
রক্তে রাঙ্গা সবুজ বাংলার তিলকমাটিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয় বাদল ঝরে।