• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

বাংলা ব্লগ । Bangla Blog

এভারগ্রীন বাংলা ব্লগ

  • ই-বাংলা
  • লাইব্রেরি
  • হেলথ
  • ইবুক

বিয়ের দরকার কেন

July 17, 2012 by শ্রাবণ আকাশ

বিবাহ জিনিসটা একটা সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কনস্টিটিউউশন। সেই হিসাবে ব্যাপারটাকে সম্মান করা যেতে পারে। তবে শুধু বিয়ে কেন, যে কোন এডাল্ট মানুষের যে কোন সম্পর্ককেই আমরা সম্মান করবো না কেন যদি না সেখানে কোন “ক্রাইম” থাকে।
এখন কথা হচ্ছে, বিয়ে জিনিসটা কী? বিয়ের যে প্রথা, সেখানে কিছু ধর্মীয় প্রলেপ দিয়ে প্রতিজ্ঞা করানো হয় দুইটা মানুষ সারাজীবন একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে। বিয়ের ব্যাপারে এইটাই রাষ্টীয় আইন।
ওদিকে ডিভোর্স নামের আরেক কাহিনী! তাহলে দেখা যায় বিয়ের চিন্তাভাবনার শুরুতেই গন্ডোগোল! ডিভোর্সই যদি হবে, তাহলে প্রথমে এত কাহিনী করে বিয়েটাকে “কবুল” করার যুক্তিটা কী? আবার বিয়ে বা ডিভোর্স- দুই সময়েই সমাজ/রাষ্ট্র ফি নিচ্ছে। কিন্তু দম্পতিদের জন্য রাষ্ট্রের কী আলাদা কোন সুযোগ-সুবিধা আছে?

তার চেয়ে একটা মানুষ আরেকটা মানুষের ভালোবাসার বন্ধনে কিছু অলিখিত শর্তে একত্রে যতদিন ইচ্ছে, ততদিন থাকতে চাইলে অন্যদের বাঁধাটা কোথায়?
আবার ভালোই যদি বাসবে, তো সেই ভালোবাসায়ও ফাটল ধরে কেন, ভালোবাসায় শর্ত থাকবে কেন, ভালোবাসা আছে কি-না- সেটাও একটা বিতর্ক। তারচেয়ে “টেক-কেয়ার” টার্মটাই বেশি নিরাপদ। দুজন দুজনের টেক-কেয়ার করবে। একে অপরের প্রয়োজনে যেভাবে খুশি সেভাবে থাকবে। আর সম্পর্কের “অলিখিত শর্ত” যারা বোঝে না, তারা এখনো কোন সম্পর্কের যোগ্য না, তাদের পক্ষে কোন সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো।

বাচ্চাকাচ্চা! কয়টা বাচ্চকাচ্চা প্লান মাফিক পৃথিবীতে আসে?
জনক মানে জন্মদাতা, পিতা মানে পালক। সন্তান পালনে জন্মদাতার চেয়ে পিতার ভূমিকাই বেশি। আমরা যাকে বাবা বলে জানি তিনি জন্মদাতা হতেও পারেন, নাও পারেন। কিন্তু তিনি অবশ্যই পিতা। সব সন্তানই পিতার পরিচয়ে বড় হয়।
আজকাল মানুষ দত্তক নেয়, অন্য ভাবে বাচ্চা নেয়। তাই বংশরক্ষার যে আভিধানিক অর্থ, সেটা সবসময় নাও মিলতে পারে। তাই নিজেদের বাচ্চা নিতেই হবে, এমন কোন কথা নেই।
বাচ্চা পালন করতে গিয়েই মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বার্থপর হয় না?
ছোটবেলা লালন-পালন করার জন্য কাউকে দরকার হয়। স্কুল-কলেজে দরকার হলে শুধু “অভিভাবক” হিসাবে সেরকম কোন পালন কর্তা বা কর্ত্রীর নাম থাকুক। এরপর এডাল্ট হলে প্রতিটা মানুষের পরিচয় হোক সে নিজে। বাপের নামে নয়; নিজের নামে বড় হোক। পৃথিবীতে নাম রেখে যেতে চাইলে বাচ্চা না বিয়াইয়া নিজের যোগ্যতায়, কর্মে নিজের নামটাই খোদাই করুক পৃথিবীতে। বংশধরদের কাধে ভর করে মানুষ কয় পুরুষ বেঁচে থাকে? আমরা কয়টা পূর্বপুরুষের নাম মনে রাখি। আর এই মনে রাখা না রাখায় তাদের কি-ই বা যায় আসে!

বুড়াকালের ভার রাষ্ট্রের হাতে বা সঞ্চিত কিছু থাকলে তা দিয়ে পছন্দমত ওল্ডহোমে।

মায়া জিনিসটা কি সুখের চেয়ে কষ্টের ভাগটাই বেশি বাড়ায় না?

(চিন্তার সূত্র: হিমেল দিবাকর)

Category: ব্লগTag: বিবাহ

About শ্রাবণ আকাশ

Previous Post:স্মৃতি বেদনাময়
Next Post:লুলে লুলায়িত বিজ্ঞাপনমূলক পোস্ট

eBangla.org