ভয় এক অনন্ত অনুগ, রূপের সওদা সব বয়ে নিয়ে ছায়ারূপ গৃহান্তরে ফেরে, সবকটি রুপার খিলান সোনার সিন্দুক তার আপনাধিকারে, আশ্চর্য চাবি নিয়ে অহোরাত্র মাতাল ভ্রমণ, গ্রাম এবং সুদূরের বন দুর্গম, জানালায় ফুরসত পেলে সে, রমণীয় যেকোনো দৃশ্যগান দু’চোখে কেড়ে নিতে ছাড়ে না
মৃত্যুর শিয়রে ছিল এক আঁজলা পানি, সব তার শুষে নিয়ে বাঁদিকে তাকানো তবু পুব বলে, পূর্বে আকাশ নবীন, আপনিই ফুটে যেথা চতুর কুমারী তারা, চুল বাঁধা গোলাকার লাল নাইটি পরা অনন্ত যৌবনা, এদের ব্যাপারে সাবধান হতে কৈশোরেই জানিয়েছিলেন অধিবিদ্যক গনতকার একজন, বিশ্বাসী না-হওয়ায় বারেবারে দেখি আমি সে ফাঁদেই পা রেখে চুপে কাত হয়ে আছি
২.
পয়মন্ত গাভির বাঁটের কাছে মমতার ঝাঁপি রেখে গোল্লাছুট খেলবার দিনে আমি যাদের বাঁ’হাত ধরে শিববাড়ির মেলা দেখাতে নিয়ে গেছি তিন গাঁ পরে, তারা এখন দূরের মাঠে রাখালি বাঁশির সুরে বেদনা ছড়িয়ে দেয় অশ্বত্থের ডালে বসা পরিযায়ী পাখিদের দেশে, আর সন্ধ্যায় মেলায় পা ফেরত গরুর পালের সাথে, পরগৃহে
৩.
রাত্রির আঁচল চিড়ে এল খাকিজোড়া, বলে হল্ট, হাত তোল ব্যাটা, নিশির গায়েতে দিলি হাত, চল তোকে তুলে দেই সুনীল লকারে, আঁধারের জামা গায়ে কেন ঘোরাফেরা, ঘুম র’লো সুখ র’লো, ঘরে পড়ে র’লো তোর যাবতীয়, বউ-ছেলে, বল দেখি কে যোগাবে খোরপোশ– আমি রাত্রিপুলিশ, যখন যা ইচ্ছে করে, তাই করে থাকি
৪.
আত্মা পলিথিনের মতো– পাখিআত্মা, গলে না পচে না, বিশাল এক অ্যাকুরেমে উড়ে গিয়ে মাছ হয়ে সাঁতরায়
অ্যাকুরেমে রুমভেদ নেই, নেই প্রাইভেসি, আমি গেলে ওখানেই দেখা হবে তোর সাথে, জলকেলি হবে খুব খোলামেলা, সবার সামনেই