উহা একটি লুলে লুলায়িত বিজ্ঞাপনমূলক পোস্ট। তবে ঘটনা সত্য এবং সিরিয়াস 😉
ভর দুপুরে কাঁচা ঘুমটা ভেঙে গেলো। রান্না ঘরে গিয়ে দেখি আঙুল ভাঙা মামা ডিপ ফ্রীজ থেকে মাছ বের করে গুতিয়ে গুতিয়ে আলাদা করার চেষ্টা করছে। মামার কষ্ট দেখে মায়াটা বেড়ে গেলেও নির্লিপ্ত ভাবে ব্রেকফাস্টটা শেষ করলাম। কম্পুতে বসে চাঁনমুখ দেইখা রোজা রাখা শুরু করলাম (আগের স্ট্যাটাস দ্রষ্টব্য)।
ততক্ষণে মামা ডাক দিল, দেখে যা কি করছে!
হোলস
েল ফিস মার্কেট থেকে সস্তায় পাইয়া রাতে ছোট ভাই নানা প্রকার তাজা মাছ এনে ডিপ ফ্রিজে রেখে ঘুম দিয়েছে। কিন্তু বেকুবে দোকান থেকে মাছ কাটিয়ে ক্লিন করে আনে নাই 🙁
মামা একহাত দিয়ে মাছ ক্লিন করার চেষ্টা করে না পেরে ডাকছে।
মামাকে বললাম, ঐ বেকুবে ঘুম থেকে উঠলেই ওরে দেশে পাঠাই দেয়া হবে বিয়ে করে আসতে। বেকুবির শাস্তি হলো- বিবাহ।
কিন্তু নিজের মায়াটাকে আর দমিয়ে রাখা গেল না। আঙুল ভাঙা মামাকে হেল্প করতে ছাই অসহযোগে, কাঁচি আর ছুরি সহযোগে জীবনে প্রথম মাছ ক্লিন করতে লেগে গেলাম। তেলাপিয়া মাছ। ছুরি দিয়ে আঁশ ক্লিন করার সময় যখন চোখে মুখে এসে লাগছিল তখন মেজাজ গরমের পাশাপাশি গানটাও মনে পড়ে গেল-
হায় কি যে করি এ মাছ নিয়া
ভাজা খাওয়ার লোভে উপায় নাই না করিয়া
ওই দুষ্টু বিলাই বলে পিয়া পিয়া
তেলাপিয়া…
ভাবছেন এখানে বিজ্ঞাপনটা কোথায়?
আরে বেকুবির শাস্তি যেমন বিয়ে, তেমনি মায়াবান হওয়ার শাস্তিও আরেকটা মায়াবতীর সাথে আজীবন ক্যাচালে জড়িয়ে পরা। ভর্তা বানানো তো আগে থেকেই জানতাম। এবার মায়াবান হইয়া যখন মাছ কুটা শিখে গেলাম, তখন… আই মীন, কোন মায়াবতী থাকলে আওয়াজ দিয়েন।