একই ভেলায় চড়ে পাড়ান্তরে যাচ্ছি আমি আর ইরা, ইরাবতী– ওপারে মৃত্যুর তীর, এলিয়ে পড়া কেশের বহুলতা ঢেকে থাকা মরণসুষমা, তার মহিমাকে ছুঁতে যাবার সঘন আর্তি কণ্ঠে মেখে আমি বলি– পারাপারলঘু এই দিন ও রাত্রির চিত আনন্দ কল্লোলগুলো গায়ে মেখে যাব, তানপুরাটা আয়েশে ধরে রেখো তুমি ঈষৎ হেলিয়ে, নিহিত আঙুল এসে অদৃশ্যে বাজিয়ে যাবে আনন্দলহরি, অবশ্যএষণা
পোলকা ডটের মতো চোখ তুলে আকাশের দিকে, বলে ইরাবতী– জলের গল্প কেবল তখনই ভালো লাগে, শুষ্ক মৌসুমে, খেলানো উচ্ছ্বাসগুলো পলকে মিলিয়ে গেলে দূর সমুদ্রপাড়ায়– তবু, ফেনাময় ঢেউয়ের রেখা যদি মূর্ত হয়ে ওঠে কোনোখানে, ভেসে যেতে পারব না আমি ললিত প্যাশনে
একই ভেলায় চড়ে তুরীয়ানন্দের দিকে আমাদের যাত্রা শুরু অনিবার্য বিভূতি বোধনে