একটা মানুষ কীভাবে তার চর্বিসমেত পুড়ে ভস্ম হয়ে যায় তুমি না-দেখলে আন্দাজই করতে পারবে না গো দিদিমণি, মুখাগ্নিকাল থেকে ঘণ্টাতিনের মাঝে ক্রমশ এটা থাকে না ওটা থাকে না, শেষে কিছুই থাকে না তার
অবশ্য ‘কিছুই থাকে না’ না-বলে বলা যায় বাতাসেচ্ছায় মানুষটা ছড়িয়ে পড়ে কাছাকাছি গোটা দেশময়, এক হয়ে ওঠে বহু, ভেবেও দেখেছি আমি এরকম হতে পারে, মৃতের যে বিছানা ছিল, তাতে গিয়ে পড়তে পারে এক টুকরো ছাই, জায়া বা পতির হাতে সাজানো অর্ঘ্যপাতে অল্পখানিক, প্রথম প্রেমিকার খোলা চোখে কিছু, বাতাসে পাখা মেলে কতই তো এটা-সেটা ওড়ে
তাই বলি লতাদি গো, পুড়তে না-দেখলে তুমি বুঝতেই পারবে না যে শ্মশানের পোড়া ঠিক কেমনতর পোড়া, আর বুঝে কী না-বুঝে তুমি ক্রমাগত ঠেলছ আমাকে ওই শ্মশানেরই দিকে