রশিদমিঞা রিক্সা চালায় সকাল দুপুর রাত
তাইতে তাদের জোটে কাপড় তাইতে জোটে ভাত ।
রশিদমিঞার ছোট্ট ছেলে রমজান তার নাম
বায়না ধরে পরবে সে যে করবে না এই কাম ।
রশিদ গিয়ে বল্লে বাবু পড়বে আমার ছেলে ,
ভর্ত্তি করে নেবে বল কত রূপয় দিলে ?
হেডমাষ্টা বলে কিছুই দিতে হবে নাকো
ডোনেশনের বাক্সে কেবল হাজারখানেক রাখো ।
বই খাতা ব্যাগ নিয়ে যখন রমজান যায় স্কুলে,
গরীব বাপের সিনা তখন গর্বে ওঠে ফুলে ।
বর্ষাকালের এক দুপুরে হঠাত্ ভাঙ্গন ধরে
স্কুলঘরটার একটা দেয়াল পড়ল ভেঙ্গে ঝরে ।
পাঁচটি শিশু পড়ল চাপা গেল তাদের প্রাণ,
তাদের মাঝে একটি শিশু রশিদের রমজান ।
স্তব্ধ রশিদ বসে আছে পাথরচাপা বুকে ,
হেডমাষ্টার হেঁকে বলেন নসীব বলে একে ।
কানাকড়ি ছিলনারে যার জীবনের দাম ,
দশটি হাজার ক্ষতিপূরণ করবে রাজ্য দান ।
রূপয় আমি চাইনা বাবু দাও ফিরিয়ে জান-
ডুকরে কাঁদে রশিদমিঞা -আয় ফিরে রমজান।।