প্রায় ৯০ বছর আগে বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধিনে থেকেও জালিয়ানওলাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃটিশ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরকম দুঃসাহস- ব্যাপারটা যেন স্বপ্নের মতো মনে হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রখ্যাত উর্দু কবি আহমেদ ফারাজ সারা জীবনের অর্জিত সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে পাওয়া দেশের সর্বোচ্চ খেতাব ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’ পাকিস্তান সরকারকে ফেরত দিয়েছেন সামরিক শাসক সরকারের গৃহীত নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। এরকম প্রতিবাদের লিস্টটা অনেক বড়। তার মধ্যে আমাদের দেশের অবস্থানটা জানতে ইচ্ছে করে। আমাদের বাংলাদেশের সরকারের পা-চাটা তথাকথিক কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিগন কবে যে…
এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা মনে পড়ে গেল। বাংলাদেশের এক ‘রাজাকার’ পীরকে স্বাধীনতার পদক দেয়ায় এক জনপ্রিয় সাহিত্যিক প্রায়ই আক্ষেপ করে থাকেন। একদিন তাকেও যখন এই একই পদকে ভূষিত করে ঐ রাজাকার পীরের কাতারে ফেলানো হল, তখন তার প্রতিক্রিয়াটা কি ছিল- সেটাও জানতে ইচ্ছে করে।