নন্দীগ্রাম একটা নাম রক্ত দিয়ে লেখা –
কৃষক এখানে ঝড়ায় রক্ত বন্দুকে টানে রেখা ।
রেখার দুধারে ভারাটে গুণ্ডা মরে মারে আসে তেড়ে ,
মেয়ে, শিশু, বুড়ো ভয়ে কেঁপে মরে লাল পতাকার ঘেরে ।
থানার দারোগা, সৈন্য সমেত দ্যাখে জুল জুল চোখে –
কেমনে চলেছে হত্যালীলাটা , কেমনে মরছে লোকে ।
কৃষকের হাতে বন্দুক আজ জমি টাটাদের হাতে,
কৃষির উপর শিল্প সত্য কোনো ভুল নেই তাতে।
কৃষ্ক দরদী লাল নেতা হাঁকে দে দমাদম মার
রক্তগঙ্গা বয়ে যায় তবু মানছেনা কেন হার !
রাধার সখীটি বড় লাল টিপে রাখে কপালটি ঢেকে
মুখে ভাষাখানি অতি অসভ্য কেডার কে বলে ডেকে-
কাস্তে-হাতুড়ি থাক পরে আজ, বন্দুক নাও তুলে-
মা-বোন কারেও কোরোনা রেয়াত, ভভ্যতা যাও ভুলে।
সুভাষের মুখে কেবলি কূভাষ, বিমান বলেনা সত্য
শ্যামল এখন রক্তবর্ণ , অহঁঙ্কারেতে মত্ত ।
বুদ্ধবাবু সিনেমা দেখেন, এটাই তো তার কাজ,
বহিরাগতরা মরছে মরুক – বাহবা গুন্ডারাজ ।
নতুন সূর্য্য উদয় হয়েছে রক্ত নদীর ধারে,
সুশীল সমাজ এবারে চাইলে, সে ছবি দেখতে পারে ।