কেউ আস্তিক হলেও আমার কিছু যায় আসে না; নাস্তিক হলেও না। এমনি কি আমি নিজেই আস্তিক নাকি নাস্তিক- সে নিয়েও ভাবতে চাই না।
মহাবিশ্বের সব কিছু কারো প্লান মাফিক হয়েছে, চলছে, চলবে। “প্লান মাফিক” চলুক বা “প্লান মাফিক” না চলুক – আমার কোনো সমস্যা বা মাথা ব্যাথা নেই। একভাবে চললেই হলো।
সমস্যাটা অন্যখানে। যদি সবকিছু তার নিয়ম অনুযায়ী চলে আর আমরা যদি এত ধার্মিক হই তাহলে আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলোই মেটে না কেন? ঘর থেকে বের হলে জানটা নিয়ে ঘরে ফেরার নিশ্চয়টা নেই কেন? আমাদের চারদিকে এত ধর্ষণ, এত খুন কেন? আমরা কেন এত অপরাধ করি? দুর্নীতিতে আমরা কেন চ্যাম্পিয়ন হই? এগুলো স্রষ্টার কোন নিয়ম অনুযায়ী চলছে? আমাদের জন্য এরকম কত “কেন”-এর উত্তরগুলোই কি আগে দরকার নয়?
পরকালে কৈফিয়তের ভয় আছে, বিচার হবে, শাস্তি হবে। তবুও কেউ বুকে হাত দিয়ে পারলে বলুক তো দেখি যে কোনো পাপ করে নাই। তাহলে আমরা স্রষ্টাকে কিসের বিশ্বাস করি!
শিক্ষক ছাত্রকে এক বস্তা জ্ঞান আর এক বস্তা টাকা থেকে একটা নিতে বললে ছাত্র নাকি টাকার বস্তাটাই নেয়। কেননা যা অলরেডী আছে সেটা কেন নেবে; যা নেই সেটাই নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মহাপুরুষরা যুগে যুগে এই বুদ্ধিমান মানুষের সামনেও জ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে হাজির হয়েছেন। বুদ্ধিমান মানুষ শুধু ধর্মটাই গ্রহণ করেছে। কেননা তাদের তো আসলে কোনো ধর্ম নাই!
আর যে বেকুবগুলো বুঝেছে যে মনুষত্ব বলে তাদের অলরেডি একটা ধর্ম আছে, শুধু তারাই জ্ঞানটাকে গ্রহণ করেছে।
এবার আসেন সৃষ্টির সেরা জীব, একটু ভাবি- আমরা বেকুব নাকি বুদ্ধিমান!
————————
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১০