বড় বাড়ির বারান্দাতে প্রদীপ জ্বলে কত দূরের থেকে দ্যাখাচ্ছে ঠিক তারার মালার মত।
বড়বাড়ির বৌ য্যানমা লক্ষ্মী প্রতীমা, ছেলে কোলে দাঁড়িয়ে আছে, আয়মা দেখে যা।
ঝলমলে ওর পোষাক-আসাক, মুখ ভরা ওর হাসি, তোর কেনমা ছেঁড়া কাপড় কত দিনের বাসী।
চলনা মা যাই ভোজ হচ্ছে, পেট ভ’রে খাই গিয়ে। নারে খোকা ভয় হয় রে, দেয় যদি তাড়িয়ে!
মাগো দূরে ঐ বুড়িমা ছেঁড়া কাপড় পরে, দাঁড়িয়ে কেন ছেলের সাথে মুখটা কাল করে।
পূজোর দিনে বাজছে সানাই, জ্বলছে কত আলো, মাগো ওদের দূঃখ দেখে লাগছেনাকো ভালো।
চলোনা যাই ডেকে আনি, পাত পেতে দিই খেতে-
এই দারয়ান, এক্ষনি যাও, বল ওদের যেতে ।
নোংরা নাকে সর্দী ছিছি ওদের বাসিস ভালো-
তুই তো আমার সোনার ছেলে ঘর করেছিস আলো।
ছেলের বুকের মন্দিরে যে ছিলেন দেবীমা,
ব্যাথায় কাঁদেন এই বুকে আর থাকা তো যায় না।।